উদ্বোধনে বিধিভঙ্গ!

সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নতুন লেবার রুমের উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন। এর পরই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০৩
Share:

বিতর্ক: উদ্বোধনে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

একটি নবরূপে নির্মাণ ও তার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হল ঝাড়গ্রামে।

সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নতুন লেবার রুমের উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন। এর পরই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। তা হলে এরই মধ্যে কী ভাবে উদ্বোধন হয়?

Advertisement

পদাধিকার বলে জেলাশাসক হলেন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। হাসপাতালের পুরনো ভবনে নবরূপে সংস্কার হওয়া লেবার রুমটির ফিতে কেটে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আর অর্জুন। হাসপাতালের নিজস্ব ওয়েবসাইটের সূচনা করেন তিনি। চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ব, কতর্ব্য সংক্রান্ত একটি বইয়েরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। জেলাশাসকের এই দ্বারোদ্ঘাটন কর্মসূচিকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কারণ, শাসকদলের নির্বাচনী প্রচারে আধুনিক সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ‘উন্নত’ স্বাস্থ্য পরিষেবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আধুনিক বাতানুকুল লেবার রুম বা প্রসব কক্ষটিও নতুন মাত্রা যোগ করবে আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ডহরেশ্বর সেন বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন করাটা নির্বাচন বিধি বহির্ভূত কাজ।” এ বিষয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনি। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, “একজন জেলাশাসক যদি নিয়মনীতি না মানেন সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মানুষ সব দেখছেন, তাঁরাই বিচার করবেন।”

জেলাশাসক আর অর্জুন বলেন, “এ দিন কোনও প্রকল্পের উদ্বোধন হয়নি। লেবার রুমের পুরনো ভবনটি সংস্কার করে সেটি চালু করা হয়েছে।” একই বক্তব্য হাসপাতালের সুপার মলয় আদকেরও। যে ফলকটির জেলাশাসক আবরণ উন্মোচন করেন, তাতে লেখা ছিল, ‘নবরূপে নির্মিত ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের প্রসূতি কক্ষের দ্বারোদ্ঘাটন করলেন জেলাশাসক’।

Advertisement

এ দিন কর্মসূচিকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে চূড়ান্ত গোপনীয়তা ছিল। খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যম সেখানে পৌঁছলে হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা সাংবাদিকদের পথ আটকান। কয়েক জন সাংবাদিকের ব্যাগ ধরেও টানাটানি করা হয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সবই যদি নিয়ম মেনে হয় তা হলে এত গোপনীয়তা নেই। যেখানে অন্য যে কোনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যায় এর বিপরীত ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন