Controversy with Bus Stand

নকশা না মেনে কাজ, উদ্বোধনে বিতর্ক

স্থানীয় সূত্রের খবর, যে এলাকায় বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেখানে অন্তত ৪০টি অস্থায়ী দোকান ছিল। ২০১৯ সালে পঞ্চায়েত সমিতির তরফে দোকানগুলি সরিয়ে নিতে বলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৫:৩০
Share:

এই বাস স্ট্যান্ড ঘিরে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।

প্রশাসনিক সভা থেকে নন্দীগ্রামে বাসস্ট্যান্ড উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ নকশা মতো কাজ শেষ না করেই ভোটের আগে সেই স্ট্যান্ড তড়িঘড়ি উদ্বোধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা।

Advertisement

নন্দীগ্রাম কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি জায়গায় বাস দাঁড়ায়। সেটি নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড বলে পরিচিত। নামে বাসস্ট্যান্ড হলেও সেখানে ছিল না কোনও পরিকাঠামো। স্থানীয়দের দাবি মেনে স্থানীয় বিধায়ক তথা তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী উদ্যোগী হয় সেখানে পরিকাঠামো যুক্ত স্ট্যান্ড তৈরি করতে। প্রথমে নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে জমি কম পাওয়ায় সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। সীতানন্দ কলেজের অপরপ্রান্তে অর্থাৎ নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কের ধারে বাস স্ট্যান্ড করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাসস্ট্যান্ড তৈরির নকশাও পরিবর্তন করা হয় সেই মতো।

স্থানীয় সূত্রের খবর, যে এলাকায় বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেখানে অন্তত ৪০টি অস্থায়ী দোকান ছিল। ২০১৯ সালে পঞ্চায়েত সমিতির তরফে দোকানগুলি সরিয়ে নিতে বলা হয়। তবে দোকানদারদেরা পুনর্বাসনের দাবি করেন। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, নতুন বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে কিছু স্টল তৈরি করে দেওয়া হবে। এদিকে, যে বেসরকারি সংস্থা নন্দীগ্রামে বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার বরাত পেয়েছিল, সেই সংস্থার মালিকের হঠাৎ মৃত্যুর ফলে কাজ থমকে যায়। পরে প্রশাসনের তরফে কাজ শেষ করা হয়েছে বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের। ভোটের আগে সোমবার সেটিই উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এদিকে, বিজেপির অভিযোগ, যে নকশা এবং পরিকল্পনা দেওয়া ছিল, সেই মত কাজ করা হয়নি। বর্তমানে বাসস্ট্যান্ডে প্রচুর বেআইনি অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়েছে শাসকদলের মদতে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ডের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। শাসকদলের মদতে এলাকাতে প্রচুর বেআইনি দোকান দখল করে আছে। তবুও ভোটের জন্য উদ্বোধনের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাসস্ট্যান্ড। তার বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তা করেনি শাসকদল।’’ যদিও তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‘তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে বিজেপি দিশাহারা হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি করে বেঁচে থাকতে চাইছে।’’

সত্যিই কি নিয়ম মেনে কাজ হয়নি? ব্লক প্রশাসনের সাফ দাবি, বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৪২ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। আর বেআইনি কোনও দোকান থাকলে তা উচ্ছেদ করবে ব্লক প্রশাসন। নন্দীগ্রাম-১ এর বিডিও সৌমেন বণিক বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ডের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। দরপত্রে যে নির্দেশিকা দেওয়া ছিল, সেই মাফিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বেআইনি দোকান দখল থাকলে তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন