ওড়িশায় মৃত দাঁতনের বৃদ্ধ, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, জানাল হাসপাতাল

ওড়িশার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় কলিঙ্গ হাসপাতালের করোনা বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল বৃদ্ধকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০১:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

১৪ দিনের লড়়াই শেষ। গত ৮ এপ্রিল ওড়িশায় চিকিৎসার জন্য গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন দাঁতনের সাউরি এলাকার এক বৃদ্ধ। ওড়িশার করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধের। মঙ্গলবার রাতেই ওই বৃদ্ধের পরিজনেদের কাছে মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয়।

Advertisement

ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর কথা জানানো হয় রাজ্য প্রশাসনকেও। এর পরে ইমেল মারফত বৃদ্ধের স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে রাতেই ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে সৎকার করা হয় দেহ। বুধবার ব্লক প্রশাসনের মারফত বৃদ্ধের মৃত্যুর শংসাপত্র পায় পরিবার। ওই শংসাপত্রে মৃত্যুর আগে বৃদ্ধের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল বলে জানিয়েছেন কলিঙ্গ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘সেপটিক শক উইথ মাল্টি অর্গান ফেলিওর’ বলে দেখানো হয়েছে।

ওড়িশার ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় কলিঙ্গ হাসপাতালের করোনা বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল বৃদ্ধকে। তবে পরবর্তীকালে ফের পরীক্ষায় করোনার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। তবে গত জানুয়ারিতে ব্রেন টিউমার অপারেশন হয়েছিল ওই বৃদ্ধের। করোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরে বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। পরদিন মৃত্যু হয় তাঁর। বৃদ্ধের নাতি বলেন, “ওড়িশার ওই হাসপাতালে আমার মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। মঙ্গলবার রাতে ওখান থেকেই আমাকে দাদুর মৃত্যুর খবর জানানো হয়। প্রশাসন এখানে দেহ আনতে অনুমতি না দেওয়ায় আমরা ওড়িশাতেই দাদুর সৎকারের জন্য বলেছি।” যদিও বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “হাসপাতাল থেকে আমাদের ই-মেল করে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এখানে দেহ আনার জন্য কেউ আমাদের বলেনি। তবে যেহেতু আগে উনি করোনা পজ়িটিভ ছিলেন তাই মৃতদেহ না আনার সিদ্ধান্তই ঠিক পদক্ষেপ বলে মনে হয়।”

Advertisement

বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেই পরিজন-সহ ২৫ জনকে মকরামপুর কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এ দিন পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই ছিলেন। ইতিমধ্যেই পরিজনেদের সকলের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এমন ঘটনায় ওই বৃদ্ধ কোন সূত্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর এ দিন পর্যন্ত পায়নি পরিবার। তার উপরে মৃত্যুর শংসাপত্রে করোনা নেগেটিভ লেখা থাকায় সেই ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে। মৃতের মেজ জামাই বলেন, “ব্রেন টিউমারের অসুস্থতার কথা ভেবে আমরা শ্বশুরমশাইকে ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ওঁকে করোনা পজ়িটিভ বলে কলিঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। তার পর থেকে সেভাবে কিছুই জানানো হচ্ছিল না। ঠিক ১৪ দিন পরে করোনা নেগেটিভ বলে মৃত বলে ঘোষনা করা হল। হয়তো সত্যটা চাপাই থেকে গেল!”

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন