বাড়ি-বাড়ি প্রচার মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রাণার (বাঁদিকে)। মেদিনীপুরের জামকুণ্ডায় মিছিলে খড়্গপুর গ্রামীণের তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল, কিংশুক আইচ।
রবিবাসরীয় প্রচারে ভাটার টান।
মনোনয়ন পর্ব প্রায় সাঙ্গ। বড় সভা নয়, মনোনয়ন পেশের পর প্রথম রবিবার পুরোদস্তুর জনসংযোগে ব্যস্ত থাকলেন খড়্গপুর মহকুমার বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রার্থীরা।
এ দিন সকাল-সকাল প্রচারে বেরোন খড়্গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রেলশহরের প্রেমবাজার, আইআইটি বাজার, গোলবাজার এলাকায় পদযাত্রা করেন তিনি। খড়্গপুর রেল কারখানার গেটের কাছে দিলীপবাবু রেলকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। খড়্গপুরে পরিবর্তন নিয়ে আশাবাদী দিলীপবাবু বলছেন, ‘‘সারা দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু খড়্গপুরের পরিবর্তন নেই।’’ খড়্গপুরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নবীনদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
রেলশহরে প্রচারে পিছিয়ে নেই ঘাসফুলও। সুভাষপল্লি এলাকায় পদযাত্রা করেন তৃণমূল প্রার্থী রমাপ্রসাদ তিওয়াড়ি। সন্ধেয় শহরের ১৬, ২৫, ২৬-সহ পাঁচটি ওয়ার্ডের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেন তিনি। প্রচারে ময়দানে অবশ্য দেখা মেলেনি খড়্গপুরের কংগ্রেস প্রার্থী জ্ঞানসিংহ সোহন পালকে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামকুণ্ডি, বীরসিংহপুরে প্রচার করেন খড়্গপুর গ্রামীণের তৃণমূল প্রার্থী দীনেন রায়। সকাল সকাল প্রচার সেরে ঝাড়গ্রামের জামবনিতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেন দীনেনবাবু। দলের জয় নিয়ে প্রত্যয়ী দীনেনবাবু বলছেন, “জেলার ১৯টি আসনেই আমাদের জয় হবে। মানুষ আমাদের পাশে আছে।’’ প্রচারে শাসকদলকে বিঁধলেন ডেবরার সিপিএম প্রার্থী জাহাঙ্গির করিম। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মানুষ দেখছেন কী ভাবে তৃণমূল নেতারা লক্ষ-লক্ষ টাকা নিচ্ছেন। বাংলার মানুষ যে এ সব মেনে নেয়নি প্রচারে বেরিয়ে তা বুঝেছি।”
সভা নয়, রবিবার অবশ্য পিংলা ও সবংয়ে বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মী বৈঠকে যোগ দেন মানস ভুঁইয়া। বৈঠকে মানসবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিংলার ডিএসপি প্রার্থী প্রবোধচন্দ্র সিংহ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সবং ব্লক সভাপতি অমল পণ্ডা, পিংলা ব্লক সভাপতি রবি ঘোষ, সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অনন্ত ধারা প্রমুখ।
সবংয়ের চাউলকুড়ি অঞ্চলে মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন প্রার্থী নির্মল ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন অমূল্য মাইতিও। নারায়ণগড়ের মকরামপুর, গোবিন্দপুর, খুরশি এলাকায় পদযাত্রা করেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদ্যোৎ ঘোষও।