ঝাড়গ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানায় বামফ্রন্টের যুব সংগঠনের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।
বুধবার সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু করেন বামফ্রন্টের যুব সংগঠনের কর্মীরা। শহর পরিক্রমা করে মিছিল পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম থানায়। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে থানার সামনে রাস্তা আটকে দেয় পুলিশ। থানার বাইরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই নিরাপত্তার বলয় ভেঙে থানার দিকে এগোতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পরই বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
এসএফআই এর ঝাড়গ্রাম জেলা সম্পাদক সৌতম মাহাত বলেন, “পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ নবান্ন অভিযানে যুব নেতা মইদুল ইসলামকে পুলিশ হত্যা করেছে। এই প্রতিবাদে রাজ্যের পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হল। এ দিনও পুলিশ আমাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছে।”
অন্য দিকে, একই প্রতিবাদে এ দিন রঘুনাথগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকা ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন মইদুল। সে সময় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে তাঁকে পুলিশ লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ। জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার মৃত্যু হয় তাঁর। মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বাম যুব ও ছাত্র সংগঠন।