শ্যামপুরায় পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
বোরো চাষের মরসুমে লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিংয়ে জেরবার চাষিরা ফের পথে নামলেন। কেশিয়াড়ির পরে এ বার পথ অবরোধ হল বেলদায়।
উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবার দাবিতে মঙ্গলবার প্রথমে চাষিদের নিয়ে বেলদার ডিভিশনাল অফিস ঘেরাও করে সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি। সেখানে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা। তারপর দুপুরে বেলদার কাছে খড়্গপুর-ভুবনেশ্বর জাতীয় সড়কের শ্যামপুরায় অবরোধ শুরু হয়। তৈরি হয় যানজট। প্রায় দেড় ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকার পরে বেলদার বিডিও ও পুলিশ গিয়ে চাষিদের বুঝিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে সন্ধে পর্যন্ত ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে ঘেরাও চলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলদা ডিভিশনের কেশিয়াড়ি, বেলদা, নারায়ণগড়-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের প্রকোপ। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছ চাষ। কৃষকদের দাবি, দিনে মাত্র ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে। বাকি সময়ে লোডশেডিং। যেটুকু সময় বিদ্যুৎ থাকছে তখনও লো-ভোল্টেজ। সেচের কাজে ব্যবহৃত পাম্প চালানো যাচ্ছে না। এই একই অভিযোগে সোমবার কেশিয়াড়ির খাজরায় পথ অবরোধ করেছিলেন চাষিরা। এ দিন বেলদার কর্মসূচিতেও যোগ দেন প্রায় কয়েকশো চাষি। অবরোধ থেকে অবিলম্বে সুষ্ঠু বিদ্যুৎ পরিষেবার দাবি জানানো হয়। চাষিদের পক্ষ থেকে সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির বেলদা শাখা সম্পাদক বিদ্যাভূষণ দে বলেন, “বিদ্যুৎ দফতর যে ভাবে দিনের ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং করে রেখে বাকি সময়ে লো-ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তাতে চাষিরা সেচের কাজ করতে পারছেন না। ফসল নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে এর প্রতিকার না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে।”
সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির প্রতিনিধি ও চাষিদের আলোচনায় বসেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা। পরে বিদ্যুৎ দফতরের বেলদা ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার হরেন্দ্রকুমার রাম বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি।” বেলদার বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্রেরও বক্তব্য, “আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।”