দাঁতন-গড়বেতা আদালত খোলা

গরমের জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। ফলে, মেদিনীপুর আদালতে ওই দিন পর্যন্ত কাজ করবেন না আইনজীবীরা। কিন্তু জেলার দাঁতন আদালত কর্মবিরতির পথে হাঁটছে না। ফলে দাঁতনের সিভিল ও ক্রিমিনাল— দু’টি আদালতই খোলা থাকছে। তবে গরমের কারনে আদালত হচ্ছে সকালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৫ ০১:৩৮
Share:

গরমের জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে মেদিনীপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। ফলে, মেদিনীপুর আদালতে ওই দিন পর্যন্ত কাজ করবেন না আইনজীবীরা। কিন্তু জেলার দাঁতন আদালত কর্মবিরতির পথে হাঁটছে না। ফলে দাঁতনের সিভিল ও ক্রিমিনাল— দু’টি আদালতই খোলা থাকছে। তবে গরমের কারনে আদালত হচ্ছে সকালে।

Advertisement

চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত সকালেই আদালত হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাঁতন আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার বার অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অঞ্জন মাইতি ও সদস্য কোয়েল সিংহের কথায়, “বিচার প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখেই আদালতে কর্মবিরতি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা ঠিক যে, গরমে সকলেরই সমস্যা হচ্ছে। তাই কিছুদিন আগে থেকেই আদালত সকালে করা হয়েছিল। এ দিন বৈঠকে সকালে আদালত করার সময় আরও কিছুদিন বাড়িয়ে দেওয়া হল।” এই আদালত দীর্ঘদিনের হলেও অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) দেওয়া হয়নি। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন আইনজীবীরা। কোয়েলদেবীর কথায়, “আবার আমরা নতুন করে আদালতে এসিজেএম দেওয়ার দাবি জানাব। তা হয়ে গেলে এলাকার বিচার প্রার্থীরা ভীষণ উপকৃত হবেন। না হলে সাধারণ কারনেও বিচার প্রার্থীদের দীর্ঘ পথ উজিয়ে মেদিনীপুরে যেতে সমস্যাও হয়।”

গড়বেতা আদালতও খোলা রয়েছে। গরম পড়লেও বিচার প্রার্থীদের কথা ভেবেই আদালত চালু রেখেছেন আইনজীবীরা। এখানে আবার দিনেই চলছে আদালত। গড়বেতা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যাম মহাপাত্রের কথায়, “মানুষ যাতে সমস্যা না পড়েন তা ভেবেই কষ্ট হলেও আমরা কর্মবিরতির পথে যাইনি।” গড়বেতাতে অবশ্য কয়েকমাস আগেই এসিজেএম আদালও শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

চাঁদার জুলুম ঠেকাতে। বাঙালির পুজো-পরবের অন্ত নেই। আর তাকে কেন্দ্র করে চাঁদার জুলুমও চলে পাল্লা দিয়ে। শারদোৎসবের সময় তো বটেই, পাড়ার শীতলা পুজোর জন্যও রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা তোলে ক্লাবের ছেলেরা। এই রেওয়াজ ঠেকাতে তৎপর হল পটাশপুর ব্লক প্রশাসন। রাস্তায় বেআইনিভাবে গাড়ি আটকে চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও ব্লকের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই সংক্রান্ত আলোচনায় বসেন পটাশপুর-২ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু। আলোচনায় সকলেই চাঁদার জুলুমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। এ বিষয়ে ব্লক প্রশাসনে আবেদন করেছেন এলাকাবাসীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন