খেলার মাঠে রক্তাক্ত দেহ গোকুলপুরে

খেলার মাঠ উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার গোকুলপুরে। সেখানে আমবাগানের কাছে এক খেলার মাঠে এ দিন সকালে যুবকের রক্তাক্ত দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

খেলার মাঠ উদ্ধার হল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার গোকুলপুরে। সেখানে আমবাগানের কাছে এক খেলার মাঠে এ দিন সকালে যুবকের রক্তাক্ত দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে বছর আঠাশের ওই যুবককে কেউ খুন করে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। গ্রামের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় শোরগোলও পড়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, শহরের উপকন্ঠে নদী ঘেঁষা এলাকা হওয়ায় বহুদিন ধরেই এই গোকুলপুরে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আনাগোনা রয়েছে। সেই সঙ্গে স্টেশন সংলগ্ন হওয়ায় এই এলাকায় আগেও এই ধরনের বহু অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই প্রবণতা যে এখনও বন্ধ হয়নি, এ দিনের ঘটনাতেই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি না বদলানোর জন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

এ দিন ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই কারক, রবি চৌধুরীরা বলছিলেন, “গোকুলপুরের মানুষ খুব শান্তিপ্রিয়। এখানে খুন-জখমের ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। তাই বাইরে থেকে আসা দুষ্কৃতীদের কাছে গোকুলপুর একটা নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে। এর আগেও বহু দেহ উদ্ধার হয়েছে আমাদের এলাকা থেকে।’’ সেই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকায় পুলিশের টহলদারি একেবারেই নেই। বহু বার বলার পরে মাঝেমধ্যে স্টেশন পর্যন্ত পুলিশ এসে ফিরে যায়। সেই সুযোগে বাইরে থেকে কাউকে এনে খুন করে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ এ দিন দেহটি উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ওই যুবকের পরিচয় জানতে খোঁজখবর শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন