Dengue

দু’জনের রক্তে  ডেঙ্গি মিলল দাসপুরে

তাঁর দাবি, এখন ওই গ্রামে ডেঙ্গির লার্ভা নষ্ট করাই স্বাস্থ্য দফতরের একমাত্র লক্ষ্য। এলাকা পরিষ্কার রাখতে পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফের মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

পুজোর আগে থেকে জ্বরে ভুগছেন রানিচক। দাসপুর-২ ব্লকের ওই এলাকায় এখনও পর্যন্ত দু’জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে জানাল স্বাস্থ্য দফতর। তবে স্থানীয়রা বলছেন, সংখ্যাটা আদতে আরও অনেক বেশি।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “গত মঙ্গলবারও রানিচক গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প হয়েছিল। ম্যাক অ্যালাইজা পরীক্ষার জন্য ২৪ জনের রক্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।”

তাঁর দাবি, এখন ওই গ্রামে ডেঙ্গির লার্ভা নষ্ট করাই স্বাস্থ্য দফতরের একমাত্র লক্ষ্য। এলাকা পরিষ্কার রাখতে পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফের মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

Advertisement

পঞ্চায়েত ও দাসপুর-২ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই রানিচকে জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়। তারপর থেকে ক্রমশ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্থানীয় মণ্ডল পাড়া, জানা পাড়া, শ্রী পাড়া, সামন্ত পাড়ায় ১১৬ জন জ্বরে আক্রান্ত হন মাত্র সাতদিনে। এখন ওই গ্রামে প্রায় ১৩০ জন আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। আবার রানিচক পঞ্চায়েতের কুমারচক গ্রামের পাত্র পাড়াতেও নতুন করে জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে।

এরই মধ্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করা রক্ত পরীক্ষার পর ডেঙ্গির জীবাণু মেলায় উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। শুধু ডেঙ্গিই নয়, গ্রামে টাইফয়েড এবং ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত অনেকে। বুধবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান বিডিও বিট্টু ভৌমিক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ মুখোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত প্রধান রিতা সামন্ত এবং উপ-প্রধান সুবীর মণ্ডলকে নিয়ে আক্রান্ত পাড়াগুলি তাঁরা ঘুরে দেখেন।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত জুলাইয়ে বাঁধ ভাঙার ফলে রানিচক গ্রামটি একমাস জলে ডুবেছিল। এখনও নিচু এলাকায় জল জমে রয়েছে। অলি-গলিতে ডাঁই হয়ে রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ। যদিও বিডিও বিট্টু ভৌমিকের আশ্বাস, “জমা জল পরিষ্কারের কাজ চলছে জোরকদমে। ব্লিচিং, চুন ছড়ানো হচ্ছে। কীটনাশকও স্প্রে করা হবে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান রিতা সামন্ত দাবি করেন, “নিয়ম করেই জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ চলছে।”

এর আগেই গ্রামে এসেছিলেন দুই পতঙ্গবিদ। তাঁরা জানান, সংগৃহীত লার্ভায় এডিসের নমুনা মিলেছিল। তারপরেই এলাকা সাফাইয়ে উদ্যোগী হয় স্বাস্থ্য দফতর ও পঞ্চায়েত। গত কয়েকদিনে চুন এবং ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ শুরু করেছেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এ দিন ডেঙ্গি ধরা পড়ার খবর পেয়েই পঞ্চায়েত প্রধান এলাকা সাফাইয়ের কাজ তদারকিতে নামেন।

জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “মশারি ব্যবহারের প্রবণতা বাড়াতে এলাকায় লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। মাইকে করে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও আর্জি জানানো হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন