জেলায় আরও বাড়ল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

দিনে দিনে বাড়ছে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা। নতুন নতুন এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর খোঁজ মিলছে বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৯। বেসরকারি হিসেবে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। কারণ, অনেকেরই চিকিৎসা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০০:২৫
Share:

দিনে দিনে বাড়ছে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা। নতুন নতুন এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর খোঁজ মিলছে বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৯। বেসরকারি হিসেবে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। কারণ, অনেকেরই চিকিৎসা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “মাত্র পাঁচ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গি নিয়ে এখনও উদ্বেগের কিছু হয়নি! জ্বরে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।”

বুধবার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পূর্ণ মান্না নামে এক ব্যক্তির জ্বরে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কেশিয়ারিতে। হাসপাতাল সুপার তন্ময় পাঁজা বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানি না! খোঁজ নিচ্ছি!” চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যুর কথা অবশ্য মানছে স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জেনেছি। তাঁর ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল না। তবে জ্বরের উপসর্গ ছিল।” হাসপাতালের এক সূত্রের বক্তব্য, জ্বরের উপসর্গ ছিল। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি সেই গড়বেতা- ৩ ব্লকেই। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪। রোজই ডেঙ্গির মতো উপসর্গ নিয়ে সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, বুধবারও এ রকম কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ডেঙ্গি নিয়ে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এক বৈঠক হয়। কালেক্টরেটের সভাকক্ষের ওই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। ছিলেন জেলার স্বাস্থ্য- কর্তারা, পুর- কর্তারা, পঞ্চায়েত- কর্তারা। বৈঠকে সচেতনতা কর্মসূচির উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা মানছেন, মশার উপদ্রব বাড়ছে। নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়ায় এই সমস্যা। যত্রতত্র আবর্জনা জমছে। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা কর্মসূচির উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে, কী ভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে, সাবধনতার জন্য কী কী করা প্রয়োজন প্রভৃতি মানুষকে জানানো হচ্ছে।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, “বিভিন্ন এলাকায় মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া ছড়ানোর কাজ চলছে। মশার লার্ভা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে। মশা- নাশক রাসায়নিক স্প্রে করার কাজও চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন