নিয়োগ হয়নি স্থায়ী প্রধান শিক্ষক, দায়িত্বে সহ-শিক্ষকরাই

নন্দকুমার ব্লকের নারাদাঁড়ি লক্ষ্মীনারায়ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাত বছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মুকুল মল্লিক। তিনি সরকারি হিসেবে এখনও প্রধান শিক্ষক নন। শুধু মুকুলবাবুই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকই নয়।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০০:৪০
Share:

নন্দকুমার ব্লকের নারাদাঁড়ি লক্ষ্মীনারায়ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাত বছর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মুকুল মল্লিক। তিনি সরকারি হিসেবে এখনও প্রধান শিক্ষক নন। শুধু মুকুলবাবুই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকই নয়। তার বদলে প্রতি স্কুলে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এমনকী তাঁরা সাম্মানিক ভাতা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ।

Advertisement

অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানসকুমার দাসও। তাঁর কথায়, ‘‘জেলার ১০৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। তবে ওই বিদ্যালয়ে একজন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। তবে এটা ঠিক, যদিও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাম্মানিক ভাতা পাচ্ছেন না। তবে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’

প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের শেষ প্রক্রিয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। ওই বছর নভেম্বর মাসে জেলার ৩৬৩ টি স্কুলে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু তারপর জেলার বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। ফলে অনেক স্কুলেই প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বর্তমানে এমন স্কুলের সংখ্যা ১০৩০টি। এমন স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন স্কুলের সহ-শিক্ষকরা। প্রশাসনিক কাজ, পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল সহ যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ সামলাতে হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদেরকেই। আর এই কাজ সামলাতে গিয়ে স্কুলের পঠনপাঠনও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।

বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্তির জন্য যোগ্যতা প্রয়োজন উচ্চ-মাধ্যমিকে ন্যুনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া এবং দু’বছরের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ। সেই যোগ্যতা অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রয়েছে বলেই দাবি শিক্ষক সংগঠনের। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, যথেষ্ট পরিশ্র সত্ত্বেও যথাযোগ্য সম্মান বা ভাতাও মিলছে না। এবং তাঁদের আরও অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মিলছে না সুযোগ। জেলার বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির জেলা সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকের অভিযোগ, ‘‘প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার সব যোগ্যতা থাকা সত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় অনেকেই সুযোগ পাচ্ছে না। সাম্মানিক ভাতা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। শূন্য পদে দ্রুত স্থায়ী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দাবি জানিয়েছি।’’

নতুন দায়িত্বে। হলদিয়া রিফাইনারির নতুন এগ্‌জিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে ১ মার্চ শপথ নিলেন সি কে তিওয়ারি। তিনি অরুণপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়ের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হলেন বলে ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন