চালু ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স

জেলা পরিবহণ দফতরে ডিজিটাল কার্ড বিলির সূচনায় ছিলেন জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী, বিধায়ক তথা জেলা পরিবহণ বোর্ডের সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ, জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎ মজুমদার প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৬
Share:

লাইসেন্স তুলে দিচ্ছেন জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

আগেই চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছিল না। প্রশ্ন ওঠার পরে এতদিনে হল। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরে চালু হল ডিজিটাল কার্ড। শুক্রবার এই কার্ড বিলির সূচনা হয়েছে।

Advertisement

জেলা পরিবহণ দফতরে ডিজিটাল কার্ড বিলির সূচনায় ছিলেন জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী, বিধায়ক তথা জেলা পরিবহণ বোর্ডের সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ, জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিশ্বজিৎ মজুমদার প্রমুখ। এদিন কয়েকজনের হাতে ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলেও দেওয়া হয়।

নতুন এই কার্ড পেয়ে খুশি লাইসেন্সধারীরা। পম্পা মিত্র নামে একজনের কথায়, ‘‘কাগজের থেকে এই কার্ড অনেক ভাল। কাগজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কার্ড সহজে নষ্ট হবে না।’’ মাস কয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে চালু হয়েছে ই-সারথী। ঘরে বসে যে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স ব্যবস্থার সরলীকরণে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর। তবে কেন ডিজিটাল কার্ডের বদলে ‘ইউজার্স কপি’ লেখা লাইসেন্স দেওয়া হয়, সেই প্রশ্ন ওঠে। দফতরেরই এক সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে ডিজিটাল কার্ড চালুর নির্দেশ এসেছিল। সেই সময়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। পরে তাতে ভাটা পড়ে। আগে লাল রঙের একটি ছোট বাঁধানো বইয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হত। তবে ডিজিটাল কার্ডের নির্দেশ আসার পর বন্ধ হয়ে যায় সেই লাল রঙের বই। বদলে পাতলা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্টের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ‘ইউজার্স কপি’ দেওয়া হচ্ছিল। এই লাইসেন্স নিয়ে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে যায়। ডিজিটাল কার্ডের ফলে ভুয়ো লাইসেন্সও রোখা সম্ভব হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement