বিজয় হোলিতে বদলের বার্তা

উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ডে বিপুল জয়ের পরে বিজেপি-র লক্ষ্য যে এ বার পূর্ব ও দক্ষিণ ভারত তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের অমিত শাহ। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও বদলের সুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০১:০৬
Share:

জনসংযোগ: হোলি উদ্‌যাপনে খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ডে বিপুল জয়ের পরে বিজেপি-র লক্ষ্য যে এ বার পূর্ব ও দক্ষিণ ভারত তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দলের অমিত শাহ। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও বদলের সুর।

Advertisement

হোলির উৎসবে যোগ দিতে সোমবার মিশ্র ভাষাভাষীর শহর খড়্গপুরে এসেছিলেন দিলীপবাবু। তিনি খড়্গপুর সদরের বিধায়কও। এ দিন শহরের সাউথসাইডে নিজের বিধায়ক কার্যালয়েই দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি শহরের মানুষের সঙ্গে হোলির শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দিলীপবাবু। তারপরে বাইক র‍্যালি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘হোলি উৎসবের সঙ্গে আমরা বিজয় হোলি পালন করছি।” তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভা দখলের ইঙ্গিত দিয়ে বিজেপি বিধায়কের আরও সংযোজন, “সারা ভারতবর্ষে পরিবর্তনের হাওয়া। গত বিধানসভায় খড়্গপুরেও পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তন চলবে। খড়্গপুর পুরসভাতেও পরিবর্তন হবে।’’

জনসংযোগে বরাবরই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পছন্দ বাইক র‍্যালি। ভোট প্রচারে তো বটেই ক’দিন আগে রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু খুনে তৃণমূল তাঁর দিকে আঙুল তোলার পরেও শহরে এসে বাইক র‍্যালি করেছিলেন দিলীপবাবু। এ দিনের কর্মসূচিতে দিলীপবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কথায়, “এই রাজ্যের দিদি ৩জন বিধায়কের কথা বলেছেন। কিন্তু ৩ নয়, ৩০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পঞ্চায়েত স্তরেও অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই রাজ্যে একটা ঝটকা দিতে হবে। ব্লকে-ব্লকে কিষান, মজদুর, ছাত্র, শিক্ষককে নিয়ে সংগঠন মজবুত করা হবে।”

Advertisement

দিলীপবাবু জানান, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ২৫ শতাংশ প্রার্থী দিতে পেরেছিল। এ বার একশো শতাংশ প্রার্থী দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। দিলীপবাবুর মতে, ‘‘অন্য বিরোধী নেই। সিপিএম-কংগ্রেস আউট। তাঁদের অনেকেই আমাদের প্রতীকে লড়াই করবেন। পঞ্চায়েত থেকেই পরিবর্তন শুরু হবে।”

খড়্গপুর শহরে সম্প্রতি শহর সভাপতি বদল হওয়ায় চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূলের একাংশ কর্মীর মনে। তৃণমূলের এমন বিক্ষুব্ধরা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছে বলেও দাবি করেছেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, “সিপিএমের বিরুদ্ধে যাঁরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল তাঁরা অনেকেই অসন্তুষ্ট। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই শহরের অনেক তৃণমূল কাউন্সিলর যোগাযোগ করছেন। আমরা পরে সকলের সঙ্গে কথা বলব।”

যদিও তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রদীপ সরকার বলছেন, “দিলীপবাবু স্বপ্ন দেখছেন। উত্তরপ্রদেশ ও বাংলার রাজনীতির অনেক ফারাক। খড়্গপুরে দিলীপবাবুর প্রতিশ্রুতি যে ভাঁওতা তা শহরবাসী বুঝে গিয়েছে। উনি এখন নিজের আসন সামলান। পরে অন্য কথা ভাববেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন