পোলিয়ো খেল ডাক্তার দম্পতির মেয়ে

ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার মলয় আদক জানান, এ দিন শিশুটি পোলিয়ো খেয়েছে।  

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবশেষে পালস পোলিয়ো খেল চিকিৎসক দম্পতির ছোট্ট মেয়ে। শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের পি পি ইউনিটে বাবা মা-র সঙ্গে গিয়ে পোলিয়ো খেয়েছে আড়াই বছরের আয়াৎ আরিফা বাসরাত।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার মলয় আদক জানান, এ দিন শিশুটি পোলিয়ো খেয়েছে।

গত রবিবার দেশ জুড়ে পালস পোলিয়ো খাওয়ানোর কর্মসূচি ছিল। ওই দিন যারা পোলিয়ো খায়নি তাদের খুঁজে পরদিন খাওয়ানোর কাজ শুরু করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের সাবড়া গ্রামে পোলিয়ো খাওয়াতে রাজি হয়নি আয়াতের পরিবার। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিলয় কুমার দাস পরিবারের লোকেদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা রাজি হয়নি। আয়াতের বাবা বাসারাত মহম্মদ ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত, আর মা আরিফা সুলতানা রয়েছেন লালগড়েরই বিনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। এক চিকিৎসক দম্পতির পরিবার থেকে পালস পোলিয়ে খাওয়াতে বাধা আসায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরে শোরগোল পড়ে যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা আয়াতের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। শিশুকে পোলিয়ো খাওয়ানোর জন্য বোঝান।

Advertisement

আয়াতের পোলিয়ো খাওয়ার খবরে খুশি স্বাস্থ্য দফতরের সকলেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘ওঁরা (চিকিৎসক দম্পতি) বুঝেছেন। পোলিয়ো খাইয়েছেন, ওঁদের ধন্যবাদ জানাই।’’ আয়াতের বাবা অবশ্য বলছেন, ‘‘ওই সময় মেয়ে অসুস্থ ছিল। ওর ডায়রিয়া ও বমি হয়েছিল। তাই পোলিয়ো খাওয়ানো হয় নি। এখন সুস্থ হতে পোলিয়ো খাওয়ালাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন