—প্রতীকী চিত্র।
এক নার্সের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন অন্য নার্সরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে চলছিল অবস্থান। শেষমেশ অভিযুক্ত তিন চিকিৎসককে শো-কজ করলেন কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যে গাফিলতি ছিল কি না, তারই জবাব চাওয়া হয়েছে ওই চিকিৎসকদের কাছে। শো-কজের জবাব এলে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “এটা কলেজের প্রশাসনিক ব্যাপার। ওঁদের কাছে জবাব তলব করা হয়েছে।”
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে তাঁদের আন্দোলনের নৈতিক জয়ই দেখছেন নার্সরা। তিন চিকিৎসককে শো-কজের চিঠি ধরানোর পরপরই তাই বিক্ষোভ-অবস্থান তুলে নিয়েছেন তাঁরা। তবে নার্সরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের নানা কর্মসূচি চলবে। শনিবার যেমন প্রতিবাদ দিবস পালন করা হয় নার্সদের সংগঠনের তরফে। কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারী নার্সরা।
গত মঙ্গলবার ভোরে তৃপ্তি দিন্দা নামে এক নার্সের মৃত্যু হয় মেডিক্যালে। তৃপ্তিদেবী মেদিনীপুর মেডিক্যালেই কর্মরত ছিলেন। তাঁর দায়িত্ব ছিল এসএনসিইউতে। মৃতার পরিজনেদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তৃপ্তিদেবীর কোনওরকম চিকিৎসাই হয়নি। সামান্য এমআরআই-ও করানো হয়নি। তৃপ্তিদেবীর মৃত্যুর পরই আন্দোলন শুরু করেন হাসপাতালের ক্ষুব্ধ নার্সরা। গত মঙ্গলবার হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজাকে ঘেরাও করেছিলেন তাঁরা। বুধবার দুপুর থেকে তাঁরা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চাননবাবুকে ঘেরাও করেন। ওই দিন রাতভর ঘেরাও হয়ে থাকেন অধ্যক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘেরাও ওঠে। এরপর থেকে মেডিক্যালে অবস্থান শুরু করেন নার্সরা।
নার্সিং সুপারের দফতরের সামনে অবস্থান চলে।
চিকিৎসকদের শো-কজের পরে বিক্ষোভ-অবস্থান প্রত্যাহারের কথা মানছেন নার্সেস ইউনিটির রাজ্য সম্পাদিকা পার্বতী পাল। শুক্রবার রাতেই ওই আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন নার্সরা। পার্বতীদেবী বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, শো-কজের জবাব পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”‘নার্সেস ইউনিটি’-এর পক্ষে সঞ্চিতা সূত্রধরের বক্তব্য, “ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন চলবে।”