পতন: সোমবার এ ভাবেই স্কুলের সামনের রাস্তায় পড়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে যাওয়ার পথে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি দিতে দেখা গিয়েছিল এক প্রধান শিক্ষককে। বেলদার পোক্তাপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই প্রধান শিক্ষক যুগলকিশোর দোলুইকে মঙ্গলবার ‘সাসপেন্ড’ করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দফতর জানিয়েছে।
যদিও এ দিন সস্ত্রীক স্কুলে এসে ওই প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, সোমবার স্কুলে আসার পথে খড়্গপুরে দুই যুবক তাঁকে মাদক খাইয়ে দিয়েছিল। তাই তিনি বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন।
প্রধান শিক্ষকের এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ পোক্তাপোল গ্রামের বাসিন্দারা। এ দিন যুগলবাবু স্কুলে আসায় ভিড় জমিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ওই প্রধান শিক্ষককে বদলি করার দাবিও তোলেন তাঁরা। গ্রামের বাসিন্দা চণ্ডী পাত্র, রামকুমার দোলুইদের দাবি, “এই মাস্টারমশাই নিয়মিত মদ্যপান করেন। আমরা আগেও দেখেছি। আর সোমবার তো উনি নিজেই স্বীকার করেছেন। আমরা মাস্টারমশাইয়ের বদলি চাই। উনি যতদিন গ্রামে থাকবেন দূষণ ছড়াবেন।’’
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ অটো থেকে নেমে স্কুলে যাওয়ার সময় সামনের মোরাম রাস্তায় বেসামাল হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যুগলবাবু। স্থানীয়দের প্রশ্নের জবাবে জড়ানো গলায় তখন তিনি বলেছিলেন, রোজই মদ্যপান করে স্কুলে আসেন। এ দিন অবশ্য প্রধান শিক্ষকের বলেন, “সোমবার আমি মদ্যপান করিনি। কলকাতা থেকে স্কুলে আসার সময় ট্রেনে দুই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। আমি ওঁদের কাছে জল চেয়েছিলাম। তখন ওরা বোতলে জল দেয়। তার পরে কী ভাবে স্কুলে এসেছিলাম মনে নেই। পরে সংবাদমাধ্যমে সব দেখে সত্যি লজ্জিত।’’
স্কুলের কয়েকহাতের মধ্যে এমন ঘটনার পড়ে অবশ্য ঝুঁকি নিতে রাজি নয় জেলা শিক্ষা দফতর। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক) আমিনুল আহাসান বলেন, “আমরা ওই প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছি। বুধবার থেকে তিনি স্কুলে আসতে পারবেন না। তদন্তে যা উঠে আসবে তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে।’’