ছবি: সংগৃহীত
সংগঠন দুর্বল, তবু ফ্রন্টে ফেরার কথা আর ভাবছে না ডিএসপি। গত রবিবার এগরায় দলের রাজ্য সম্মেলনে এ কথাই জানিয়ে দিলেন দলের নেতারা। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, তিনি ডিএসপি-র সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। কিন্তু দল যে তাতেও রাজি নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডিএসপি-র রাজ্য সম্পাদক নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম কড়া ভাষায় বলেন, “যারা ভাবে ‘সবার উপরে পার্টি সত্য’ তাদের সঙ্গে আমরা নেই। বরং যারা ভাবে সবার উপরে মানুষ সত্য আমরা তাদের সঙ্গে থাকব।’’ তাঁর দাবি, বড়জোর ফ্রন্ট ত্যাগের ব্যাখ্যা তাঁরা দিয়ে আসবেন বিমানবাবুকে। কিন্তু সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনার প্রশ্ন নেই।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল একা লড়তে পারে আবার জোটও বাঁধতে পারে অন্য দলের সঙ্গে— সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি নেতৃত্ব। ডিএসপি-র সাধারণ সম্পাদক প্রবোধ সিংহ স্বীকার করেন, ‘‘এই মুহূর্তে একলা লড়ার মতো শক্তি দলের নেই। ভোটের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যদি জোট না হয় তবে দল একাই নির্বাচন লড়বে।’’ পাশাপাশি নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারেরই ‘অন্ধ’ বিরোধিতায় যাবে না দল। বরং মানুষের স্বার্থে গঠনমূলক কাজে প্রশংসা ও সহযোগিতা করবে ডিএসপি। সম্মেলনে যোগ দেন ওড়িশার সমতাক্রান্তি দলের সভাপতি ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ব্রজকিশোর ত্রিপাঠী, জনতা দলের (ইউনাইটেড) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অমিতাভ দত্ত। ঝাড়খণ্ডের রিপাবলিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া-র নেতা কে আর নায়ার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, ডিএসপি-র পাশে আছেন তাঁরা।