সোনাখালি স্কুলপাড়ার মণ্ডপে বসছে এসি। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
দশর্কদের মন ভরাতে শুধু থিমের মণ্ডপই নয়, স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন তার জন্য তৈরি হচ্ছে বাতানুকূল মণ্ডপ। কলকাতা নয়, খোদ ঘাটাল শহরেই সুযোগ মিলবে এমন মণ্ডপের।
কৃষি প্রধান ঘাটাল জনপদে এখন থিম পুজোর ছড়াছড়ি। দাসপুরের একাধিক মণ্ডপ বছর তিন-চারেক আগে থেকেই সেরার সেরা মণ্ডপের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। পিছিয়ে নেয় ঘাটাল শহরও। এ বার শহরে একাধিক বড় মণ্ডপের সঙ্গে তৈরি হয়েছে বাতানুকূল মণ্ডপও।
গোবিন্দপুর পুজো কমিটি এ বার তৈরি করেছে পাহাড়ের মধ্যে গুহার আদলে মণ্ডপ। কাঠ-বাঁশ, প্লাই, প্যারিস, চট দিয়ে চল্লিশ ফুট লম্বা ও তিরিশ ফুট চওড়ার পাহাড়ের উপর তৈরি হয়েছে একটি গুহা। গুহার মুখে তৈরি হয়েছে একটি অজগর সাপও। সাপের মুখ দিয়েই দশর্নাথীরা ঢুকবেন। ভ্যাপসা গরমে প্রতিমা দেখার সময় দশর্কদের যাতে অস্বস্তি না হয় তার জন্য বাতানুকুল মণ্ডপ তৈরি করেছেন উদ্যোক্তারা। কমিটির সভাপতি অনিরুদ্ধ কুলভি বলেন, “শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মণ্ডপই নয়, ভিতরে রংবাহারি আলোর ব্যবস্থাও থাকছে।”
দাসপুরের সোনাখালি স্কুলপাড়া সবর্জনীন পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই আলি বাবা চল্লিশ চোরের গুহার আদলে মণ্ডপ তৈরি করে দশর্কদের মন কেড়ে নিয়েছে। মণ্ডপের ভিতরে বাতানুকূল পরিবেশ সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসিয়েছে। দাসপুরের আর একটি পাঁচবেড়িয়া সানরাইজ পুজো কমিটির উদ্যোগেও এ বার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। কমিটির থিম ‘বেটি বাঁচাও’। দুই কমিটির পক্ষে পবিত্র মণ্ডল ও নির্মল পালধীরা বলেন, “পুজোর সময় ভিড় হয়। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবস্থা করা হয়েছে।”