—প্রতীকী ছবি
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নজরদারি বৃদ্ধি ও ভোট গ্রহণের পর ভোট বাক্স দ্রুত নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে এ বার ম্যাক্রো সেক্টর অফিস চালু করছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে বেশ কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নিয়ে সেক্টর অফিস গড়ার নিয়ম রয়েছে। এর জন্য কমিশনের তরফে সেক্টর অফিসার নিয়োগ করা হয়। ওই সেক্টর অফিসগুলির মাধ্যমে বুথগুলি থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়। আবার কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গোলমাল হলেও পুলিশকে জানানো হয়।
ভোটগ্রহণের পর ভোটবাক্স গণনাকেন্দ্রে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সেক্টর অফিসগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্বাচন কমিশনের তরফে এবার লোকসভা ভোটে সেক্টর অফিস ছাড়াও আরও নিচুতলায় ম্যাক্রো সেক্টর অফিস চালু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার-পাঁচটি বুথ নিয়ে এই ম্যাক্রো সেক্টর চালু করা হবে। এর ফলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোটগ্রহণের পর ভোটবাক্স দ্রুত নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে সুবিধা হবে বলে দাবি।
জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘জেলায় মোট ৪৩৫৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ও ৪২৯টি সেক্টর অফিস রয়েছে। এ ছাড়া এবার ম্যাক্রো সেক্টর অফিস চালু করা হবে। ৪-৫ টি বুথ নিয়ে ম্যাক্রো সেক্টর অফিস থাকবে।’’ তিনি জানান, শুধুমাত্র ভোটারস্লিপ দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে না। ভোটারের সঙ্গে ছবি যুক্ত কমিশন নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকতে হবে। জেলায় তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬৭ জন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ভোটার রয়েছেন ১৭ হাজার ৪৪৯ জন। এঁদের ভোট দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জেলাশাসক জানান, এ বার প্রার্থীরা সর্বাধিক ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। বেআইনি আর্থিক লেনদেন রুখতে ব্যাঙ্কগুলিতে ১০ লক্ষর বেশি টাকার লেনদেন সন্দেহজনক মনে হলে তদন্ত করা হবে। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে এবিষয়ে জানানো হবে। ছাপাখানায় প্রার্থীদের প্রচারপত্র ছাপানোর সময় তার নাম উল্লেখ করতে হবে। দেওয়াল লিখনে বাড়ির মালিক ও সভার জন্য জমির মালিকের সম্মতি নিতে হবে।