অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, পলাতক প্রধান অভিযুক্ত, গ্রেফতার তিন

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বেলদায়। বৃহস্পতিবার সকালে বেলদা থানার পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হল বেলদার হেমচন্দ্র অঞ্চলের রঘুনাথপুর গ্রামের রবি টুডু, তরুণ মাইতি ও নিধিচকের পরিমল মাইতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বেলদায়। বৃহস্পতিবার সকালে বেলদা থানার পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হল বেলদার হেমচন্দ্র অঞ্চলের রঘুনাথপুর গ্রামের রবি টুডু, তরুণ মাইতি ও নিধিচকের পরিমল মাইতি। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রঘুনাথপুরের চন্দন রানা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।”

Advertisement

এই ঘটনায় ‘প্রোটেকশন অফ চাইল্ড ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ বা ‘পকসো’ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এ দিন ধৃতদের মেদিনীপুরে পকসো আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ধৃতদের টিআই প্যারেড ও কিশোরীর বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে বলেছেন বিচারক। আপাতত ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। অভাবের সংসারে মায়ের সঙ্গে থাকে ওই কিশোরী। মাস কয়েক আগে রঘুনাথপুরের চন্দন রানার সঙ্গে ওই কিশোরীর আলাপ হয়। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর মা এক আত্মীয়ের সঙ্গে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল কিশোরী। তখন তার সঙ্গে দেখা করতে আসে চন্দন। কিশোরীর অভিযোগ, দিঘায় ঘোরার নাম করে তাকে নিয়ে বেরোয় চন্দন। পথে পরিচয় হয় রবি, তরুণ ও পরিমলের সঙ্গে। এরপরে নিধিচক ও রঘুনাথপুরের রাস্তার মাঝে একটি ঝোপের আড়ালে ওই চারজন কিশোরীকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিশোরীর জামাইবাবু বলেন, “চন্দন-সহ ওই চারজন আমার শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেছে। আমরা ওদের কঠোর শাস্তি চাই।”

Advertisement

ঘটনার পরে পালিয়েছিল অভিযুক্তেরা। রাস্তার ধারে পড়ে ছিল কিশোরী। রঘুনাথপুরের তৃণমূলের বুথ সভাপতি আশিস ঘোষ বলেন, “দলীয় একটি কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে মোটরসাইকেলের আলোয় মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। কোনওরকমে ওকে থানায় নিয়ে গিয়ে সব জানাই। পুলিশের কাছে মেয়েটি সব বলেছে।” রাতেই গণধর্ষণের মামলা রুজু করে অভিযুক্ত চার যুবকের খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। চন্দনকে না পেলেও এ দিন সকালে বাকিদের গ্রেফতার করা করা হয়। এ দিন সকালে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন