রেশন দোকানে ‘যন্ত্র-রসিদ’

এ জন্য জেলার বিভিন্ন ব্লকের রেশন ডিলারদের ইতিমধ্যে পিওএস  যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল আগেই। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত রেশন দোকানে পিওএস (পয়েন্ট অফ সেলিং) যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন বণ্টন ব্যবস্থা চালু করছে খাদ্য দফতর। গ্রাহকদের খাদ্য সামগ্রী বিক্রির সময় পিওএসের সাহায্যে দামের রসিদ দেওয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে অন্তত ৭০০টি রেশন দোকানে ওই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এ জন্য জেলার বিভিন্ন ব্লকের রেশন ডিলারদের ইতিমধ্যে পিওএস যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

খাদ্য সুরক্ষা আইনে সমস্ত গরীব বাসিন্দাদের সরকারি ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সামগ্রী বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী বণ্টন নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন গ্রাহকেরা। তার প্রেক্ষিতে খাদ্য সামগ্রী গ্রাহকদের পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এবার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে খাদ্য দফতর। সে জন্য রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী কেনার সময়েই গ্রাহকদের হাতে যন্ত্র চালিত ‘স্লিপ’ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কিছু রেশন দোকানে ওই যন্ত্র বসিয়ে খাদ্য সামগ্রী বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পিওএস যন্ত্র বসিয়ে রেশন সামগ্রী বণ্টনে প্রাথমিকভাবে সাফল্য পাওয়ার পরে সমস্ত রেশন দোকানে ওই যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্য দফতর রেশন ডিলারদের এ জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে।

Advertisement

গত শুক্রবার তমলুক এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সমস্ত রেশন ডিলারকে পিওএস যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মণ বলেন, ‘‘ব্লকের মোট ৩৯জন রেশন ডিলারের মধ্যে প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে পাঁচ জন ডিলারকে পিওএস দেওয়া হয়েছিল। ওই দোকানগুলিতে যন্ত্রের সাহায্যে গ্রাহকদের স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। এরপর ব্লকের বাকি সব রেশন ডিলারকে গত শুক্রবার পিওএস দেওয়া হয়েছে।’’

পিওএসের মাধ্যমে স্লিপ দেওয়ার ফলে রেশন দোকানগুলিতে গ্রাহকেরা কোন খাদ্য কত দামে এবং কী পরিমাণ কিনেছেন, তাঁর প্রমাণ পাবেন। ওই যন্ত্রের সাহায্যে অনলাইন পদ্ধতিতে খাদ্য দফতরের যোগাযোগ থাকায় রেশন দোকানগুলিতে বরাদ্দ খাদ্য সামগ্রী বণ্টন এবং মজুতের পরিমাণ জানতে পারবেন দফতরের কর্তারা। এতে খাদ্য বণ্টনে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলেই খাদ্য দফতরের কর্তাদের দাবি। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বলেন, ‘‘জেলার সমস্ত রেশন ডিলারদের ধাপে ধাপে ওই যন্ত্র দেওয়া হবে। যন্ত্র ব্যবহারের জন্য ডিলারদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন