ফাইল চিত্র।
সহজে এলাকা ছাড়ছে না হাতির পাল। হাতির একটি বড় দল বুধবারও শালবনির আরাবাড়িতে ছিল। এদিকে-সেদিকে ঘোরাঘুরি করছিল। সোমবার রাতে সেই হাতির হানায় দু’জন জখম হয়েছিলেন। মঙ্গলবার এবং বুধবার সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য হাতির হানায় কারও জখম হওয়ার খবর নেই। তবে, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মেদিনীপুর সদর ব্লক থেকে সপ্তাহ কয়েক আগেও এই এলাকায় এসেছিল হাতির পাল। দিন কয়েক থেকে ফের মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়ার দিকে ফিরে যায়। ফের দলটি ঘুরেফিরে এখানে চলে এসেছে। বুধবার কোন এলাকায় ঠিক কতগুলো হাতি ঘোরাফেরা করেছে? বন দফতর সূত্রে খবর, মেদিনীপুর রেঞ্জের বাগডুবিতে তিনটি হাতি ছিল। লালগড় রেঞ্জের পাথরপাড়ায় দু’টি, তিলাঘাগরিতে একটি, কামরাঙিতে একটি হাতি ছিল। অন্য দিকে, চাঁদড়া রেঞ্জের শুকনাখালিতে ছ’টি হাতির একটি দল ঘোরাফেরা করেছে। ভাদুতলা রেঞ্জের চৈতা বুড়িশোলেও দু’টি হাতি ছিল। পিঁড়াকাটা রেঞ্জের পাথরনালায় ছ’টি থেকে সাতটি হাতির দল ঘোরাফেরা করেছে। বড় দলটি ছিল আড়াবাড়ি রেঞ্জের জোড়াকেউদিতে। এই দলে ৩৫- ৪০টি হাতি রয়েছে।
অভিযোগ, হাতির তাণ্ডবে গ্রামের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। খবর দিলেও বনকর্মীরা সময় মতো হাতি খেদাতে আসছেন না। এ ক্ষেত্রে বন দফতরের পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। তাই ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, পরিকল্পনার অভাব নেই। হাতির স্বাভাবিক পথে বাধা দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সব দিক দেখে হাতি তাড়ানোর কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘হাতির বড় দলটি আরাবাড়িতে রয়েছে। সব দিকে নজরও রাখা হয়েছে।’’