হাড়হিম করা শীত। তারই মধ্যে হাতির হানা থেকে ঘরবাড়ি, ফসল বাঁচাতে রাত জাগছেন গ্রামবাসীরা।
শিলাবতী নদী তীরবর্তী গড়বেতা ১ ব্লকের আগরা পঞ্চায়েতের সরবনি, বান্দুয়া, খরখরি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের ঘুম উড়েছে হাতির উপদ্রবে। গ্রাম লাগোয়া আশেপাশের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে দাঁতালের দল। খাবারের সন্ধানে তারা হানা দিচ্ছে আলুখেতে বা খামারে রাখা না ঝাড়া ধানের গাদায়। তছনছ করছে খেত-খামার। দলছুট হয়ে গ্রামে ঢুকে ভাঙছে ঘরও। শনিবার গভীর রাতে বান্দুয়া গ্রামে ৬ টি দাঁতাল ঢুকেছিল। স্থানীয় রাখহরি মাঝির মাটির ঘরের জানলা ভেঙে একটি হাতি শুঁড় ঢুকিয়ে দেয়। ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন রাখহরির স্ত্রী রীনা। তিনি বলেন, ‘‘হোঁস হোঁস শব্দে ঘুম ভেঙে আঁতকে উঠি। ঘর ছেড়ে ছুটে পালাই। পরে হাতিগুলি জঙ্গলের দিকে চলে যায়।’’ গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ মণ্ডলের কথায়, ‘‘মাঠে এখন আলু-আনাজ, খামারে ধান। সে সব বাঁচাতে রাত জাগতে হচ্ছে।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, গড়বেতার খড়িকাশুলি ও নাচনজাম জঙ্গলে ১১টি দাঁতাল রয়েছে, হুমগড়ের হদহিদির জঙ্গলে ১১টি, ৪টি হাতি রয়েছে মাগুরাশোলের জঙ্গলে। দলছুট কয়েকটি হাতি এদিক-ওদিক রয়েছে। কিছু হাতি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের আসতাশোল জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে। রূপনারায়ণ বিভাগের এডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, ‘‘গ্রামবাসী ও বনকর্মীরা একসঙ্গে নজরদারি চালাচ্ছেন যাতে হাতিরা ফসলের খেত বা লোকালয়ে চলে না আসে।’’