১১ জনকে প্রাথমিকে নিয়োগ, নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০০৬ সালের প্যানেল পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার এই নির্দেশের এর জেরে স্কুলশিক্ষা দফতর ফাঁপরে পড়তে পারে বলে মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৬ ০০:২৮
Share:

প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০০৬ সালের প্যানেল পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গত মঙ্গলবার এই নির্দেশের এর জেরে স্কুলশিক্ষা দফতর ফাঁপরে পড়তে পারে বলে মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের মতে, এতে রাজ্যকে হয় আরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, না-হলে ২০০৬ সালের নিয়োগ প্যানেল থেকে চাকরি পাওয়া কিছু প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

Advertisement

আইনজীবী এক্রামূল বারি জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুলশিক্ষা অধিকর্তা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র পালের ডিভিশন বে়ঞ্চে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, ওই বছরের মেধা তালিকায় তখন নাম ছিল না, পশ্চিম মেদিনীপুরের এমন ১১ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং) প্রার্থীর হাতে আদালতের নির্দেশ মতো নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। অধিকর্তা আদালতে স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনারের একটি চিঠিও পেশ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে লেখা। তাতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষিতদের ২২ নম্বর দিয়ে ওই বছরের মেধা তালিকা নতুন করে তৈরি করলে যদি চাকরিরত ১১ জন মেধা তালিকার নিচের দিকে চলে যান, তা হলে তাঁদের নাম বাদ দিতে হবে।

আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, ২০০৬-এ এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে পাঠানো নামের ভিত্তিতে ২০০৯-এ রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হয়, তাতে অনেক প্রার্থীকেই ২২ নম্বর (প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট) দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বহু প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের দায়ের করা মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছেন, প্যানেল পুনর্বিন্যাস করতে।

Advertisement

এক্রামূলবাবু জানান, একই ভাবে ২২ নম্বর না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১ জন প্রার্থী। তাঁদের নামও ২০০৬ সালের নিয়োগ প্যানেলে ছিল না। সেই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী রায় দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে নতুন পদ তৈরি ওই ১১ জনকে ২২ নম্বর দিয়ে চাকরি দিতে হবে।

সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র পালের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মতো স্কুলশিক্ষা অধিকর্তা গত ১১ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই ১১ জনকে চাকরি দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement