ক্ষমতায় এসেই তছরুপের অভিযোগ সৌমেন গোষ্ঠীর

ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ছাত্র সংসদ দখলের পরে এ বার কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিচ্ছে টিএমসিপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ছাত্র সংসদ দখলের পরে এ বার কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিচ্ছে টিএমসিপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী।

Advertisement

মঙ্গলবার কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় এসেছে টিএমসিপি-র প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি সৌমেন আচার্যের গোষ্ঠী। সৌমেন হলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর অনুগামী। টিএমসিপি-র বিদায়ী ছাত্র সংসদটি এতদিন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার অনুগামী তথা ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের স্বঘোষিত নেতা আর্য ঘোষের দখলে ছিল। ক্ষমতায় আসার পরই টিএমসিপি-র বিদায়ী সংসদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সরব হয়েছে সদ্য ক্ষমতায় আসা সৌমেন গোষ্ঠী।

কলেজের ছাত্র সংসদের নতুন সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, “সামনে সরস্বতী পুজো। ছাত্র ভর্তির সময় ছাত্র সংসদের নামে রসিদ ছাপিয়ে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে সরস্বতী পুজোর জন্য নেওয়া হয়েছিল। পুজোর জন্য বিদায়ী ছাত্র সংসদ কত টাকা তুলেছে এবং সেই টাকা কার কাছে রয়েছে, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য মিলছে না।” বুধবার সজলের নেতৃত্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সদস্যরা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্তের সঙ্গে এ ব্যাপারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ দিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজে আসেননি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

Advertisement

টিএমসিপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা নেতা সৌমেন আচার্য বলেন, “সরস্বতী পুজোর নাম করে প্রতি বছর নিয়ম বহির্ভুত ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। বিদায়ী ছাত্র সংসদের অধিকাংশ সদস্যকে অন্ধকারে রেখে এক স্বঘোষিত বহিরাগত নেতা আর্থিক তছরুপ করেছেন।” সৌমেনের অভিযোগের তির যার দিকে, সেই আর্য ঘোষ বলেন, “এ সব মৌখিক অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। ওরা আগে প্রমাণ দিক, তখন হিসেব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন