মূর্তিতে মাল্যদান অধীর চৌধুরী ও শুভেন্দু অধিকারীর। নিজস্ব চিত্র।
যে সমস্ত বিদ্যালয়, মাদ্রাসা-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাতঙ্গিনী হাজরার নামে ভবন নির্মাণ করবে, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। মাতঙ্গিনী হাজরার ৭৫তম আত্মবলিদান দিবসে এমনই ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তমলুক শহরের রাজময়দানে এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাতে হবে।’’
তমলুকের বানপুকুরের পাশে মাতঙ্গিনী হাজরার একটি স্মারক উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। প্রকাশ করা হয় স্মারকগ্রন্থও। অনুষ্ঠানে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল, জেলাশাসক রশ্মি কমল, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, নন্দীগ্রামের বিধায়ক ফিরোজা বিবি, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে প্রমুখ।
সকাল ১১ টায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জেলখানা মোড় থেকে পদযাত্রা করেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রায় আধ কিলোমিটার হেঁটে বানপুকুরে যান তিনি। মালা দেন মাতঙ্গিনী মূর্তিতে।
তমলুকের মাতঙ্গিনীর জন্মস্থান হোগলা গ্রাম, কর্মস্থান আলিনান গ্রামেও স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। জেলা জুড়ে সমস্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি অফিসেও শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা-সহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিন সকালে নোনাকুড়ি বাজার থেকে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সমস্ত মাধ্যমিক স্কুল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
এ দিন বনবিষ্ণুপুরে ভবঘুরেদের জন্য মাতঙ্গিনী আবাসের উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। এ দিন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলও সুতাহাটায় মাতঙ্গিনীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন।