পরীক্ষাই এখনও শেষ হয়নি। ফল প্রকাশ কবে হবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই আগামী শিক্ষাবর্ষেও বিএডে ভর্তি হওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষায় এম.এসসি-র দ্বিতীয় বর্ষের অঙ্ক বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দূরশিক্ষায় এম.এসসি-র দ্বিতীয় বর্ষের অঙ্কের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এখনও একটি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা বাকি রয়েছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় আগামী শিক্ষাবর্ষে বি এড পড়ার জন্য আবেদন করতে পারছেন না ছাত্রছাত্রীরা। বাড়ছে ক্ষোভ।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার দু’মাস পরেও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যদিও কর্তৃপক্ষের সাফাই, নির্বাচনের কারণেই কিছুটা দেরি হয়েছে। দূরশিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অসীম সরকার বলেন, “দু’টি বিষয়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। নির্বাচনের কারণে পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। শীঘ্রই পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে।”
আগামী শিক্ষাবর্ষের বিএড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন পত্র জমা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এম.এসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ না হলেও আবেদনকারীরা কোন বিষয় নিয়ে পড়ছেন তা জানিয়ে আবেদন করা যায়। কিন্তু ভর্তির আগে এম.এসসির মার্কশিট জমা দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বিএডে ভর্তির জন্য আবেদন জমা নেওয়া হবে। তারপর আর আবেদন করা যাবে না।
প্রশ্ন উঠছে, এরপর কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, কবেই বা ফল প্রকাশ করা হবে। বিএডে ভর্তির নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে বড়জোর দশদিন বাকি। এরপর পরীক্ষার দিন নির্দিষ্ট করে ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব নয়, তা বুঝে গিয়েছেন সকলেই। ওই বিভাগের এক ছাত্রীর কথায়, “অকারণে আমাদের একটি বছর নষ্ট করা হল। একটা বছর সময় নষ্ট যে কত ক্ষতি তাও যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ না বোঝেন, তাহলে আমরা কী করতে পারি!”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল প্রকাশ নিয়ে অসন্তোষ নতুন নয়। শুধু দূরশিক্ষা বিভাগ নয়, নিয়মিত (রেগুলার) বিভাগের ক্ষেত্রেও পরীক্ষার ফল প্রকাশে দেরি হওয়ার অভিযোগ প্রথম থেকেই ছিল। তা নিয়ে আগে বিক্ষোভও হয়েছে। পরে অবশ্য কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীকালে সময় আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়মিত বিভাগের ক্ষেত্রে অবশ্য সেই নিয়মেই এখনও ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হয়। তাহলে দূরশিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে কেন এমনটা হল? ফল প্রকাশ দূরে থাক, পরীক্ষাই শেষ করা যায়নি! কর্তৃপক্ষের কাছে এর সদুত্তর মেলেনি।
পত্রিকা প্রকাশ। এক পত্রিকা প্রকাশ হল মেদিনীপুরে। নাম ‘আগুন পাখি’। সৌমেন শেখর সম্পাদিত এই পত্রিকায় রয়েছে শুধু কবিতা। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরের সরগম মোড়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই পত্রিকার প্রথম প্রকাশ হয়।