গোপ কলেজে প্রদর্শনী

প্রাচীন মুদ্রা দেখে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা

চোখের সেই গুপ্ত, মুঘল আমলের প্রাচীন মুদ্রা। সে সব দেখে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত স্বর্ণালী অধিকারী, প্রিয়াঙ্কা ঘোষের মতো ইতিহাসের ছাত্রীরা। স্বর্ণালী বলছিলেন, “প্রাচীন মুদ্রা এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে সত্যিই অন্য অনুভূতি হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২১
Share:

কোথায় কোন মুদ্রা, সাজানো হয়েছে মানচিত্রে। — নিজস্ব চিত্র

চোখের সেই গুপ্ত, মুঘল আমলের প্রাচীন মুদ্রা। সে সব দেখে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত স্বর্ণালী অধিকারী, প্রিয়াঙ্কা ঘোষের মতো ইতিহাসের ছাত্রীরা। স্বর্ণালী বলছিলেন, “প্রাচীন মুদ্রা এত কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে সত্যিই অন্য অনুভূতি হচ্ছে। বিশেজ্ঞদের থেকে মুদ্রাগুলো সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেও পারলাম।” প্রিয়াঙ্কার কথায়, “আজকের দিনটা মনে থাকবে। অনেক অজানা তথ্য জানলাম।”

Advertisement

প্রাচীন মুদ্রা নিয়ে সোমবার এক প্রদর্শনী হয় মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা (গোপ) কলেজে। পড়ুয়াদের মধ্যে প্রাচীন মুদ্রা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতেই কলেজের ইতিহাস বিভাগ এবং ‘নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি অব ক্যালকাটা’-র উদ্যোগে এই প্রদর্শনী। মেদিনীপুরের কোনও কলেজে এমন প্রদর্শনী এই প্রথম। ফলে, পড়ুয়াদের উত্সাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। গোপ কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহার কথায়, “প্রাচীন এই সব মুদ্রা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দেয়। বেশ কিছু মুদ্রা দেখে বুঝতে পারা যায়, প্রাচীন যুগে নারীর অবস্থান আরও উন্নত ছিল। এই প্রদর্শনী থেকে সত্যিই অনেক কিছু জানলাম- শিখলাম।”

প্রদর্শনীতে সব মিলিয়ে আড়াইশো প্রাচীন মুদ্রা ঠাঁই পেয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে প্রাক্‌ স্বাধীনতা যুগ পর্যন্ত নানা ধরনের মুদ্রা এক-একটি ক্যাবিনেটে প্রদর্শিত হয়েছে। ছিল পৃথিবীর প্রথম মুদ্রাও। যেটি লিডিয়ার। ছিল মুঘল সম্রাট শাহ আলমের মুদ্রা, প্রাচীন বাংলার চন্দ্রকেতু গড়ের মুদ্রা, কুষান, ইন্দো-গ্রিক, এমনকী বাংলার নবাবদের আমলের মুদ্রাও। পাশাপাশি, কয়েকজন বিশিষ্ট মুদ্রা সংগ্রাহকের সংগ্রহও প্রদর্শনীতে জায়গা করে নিয়েছিল। নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি অব ক্যালকাটা-র সভাপতি অনুপ মিত্র বলছিলেন, “মুদ্রা বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন রূপে এসেছে। মুদ্রার মাধ্যমে শাসকেরা তাঁদের বক্তব্যও জানান দিয়েছেন।” তাঁর মতে, ইতিহাস ও মুদ্রা একে অন্যের পরিপূরক। ভারতীয় মুদ্রাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই দেশে রাজত্বের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রার ধরণও পাল্টেছে। পাল্টেছে তার রূপ। কলেজের ইতিহাসের শিক্ষিকা রিনা পালের কথায়, “এই ধরনের প্রদর্শনী প্রাচীন মুদ্রা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।”

Advertisement

‘নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি অব ক্যালকাটা’-র পক্ষ থেকে এ দিন বেশ কিছু প্রাচীন মুদ্রা কলেজকে দেওয়া হয়েছে। সোসাইটির আর্জি, কলেজে একটা মিউজিয়াম হোক। সেখানে রাখা হোক এই সব মুদ্রা। আর্জি মতো মিউজিয়াম তৈরির আশ্বাস দিয়েছে কলেজও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন