Idol Immersion at Contai

কাঠামো পড়ে খালে, ব্যতিক্রম শিল্প শহর

বিজয়া দশমী থেকেই জেলার অধিকাংশ পুজোর বিসর্জন শুরু হয়েছে। কাঁথিতে প্রায় সব দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া, কাঁথি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পুজো মিটেছে। ফিরেছে পুজো পরবর্তী চেনা ছবি। বিসর্জন ঘাটে পড়ে প্রতিমার কাঠামো। জেলার কিছু এলাকায় প্রশাসনের তরফে ওই কাঠামো এবং আবর্জনা সরানোয় তৎপরতা দেখা গেলেও একাদশীর দিন অধিকাংশ বিসর্জন ঘাটেই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে প্রতিমার কাঠামো। তাতে দূষণের পাশাপাশি, ডেঙ্গি সংক্রমণের আশঙ্কাও করছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

বিজয়া দশমী থেকেই জেলার অধিকাংশ পুজোর বিসর্জন শুরু হয়েছে। কাঁথিতে প্রায় সব দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন হয়ে গিয়েছে। কাঁথিতে এবার দু'জায়গায় প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছিল— ক্যানাল পাড়ে ওড়িশা কোস্ট ক্যানাল এবং কুমারপুরে সাধু জানার পুকুরে। মঙ্গলবার শুধু ক্যানাল পাড়ে ঘাটে ২৭টি প্রতিমা ও কুমারপুরে ১৭টি প্রতিমার বিসর্জন হয়। পুরসভার সাফাই কর্মীরা ঘাটগুলি পরিষ্কারের দায়িত্ব প্রতি বছর সামলান। কিন্তু এ বছর কাঠামো পড়ে রয়েছে বুধবারও। ওই সব সামগ্রী পচে গিয়ে দূষণ সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বর্জ্য দীর্ঘক্ষণ জমে থাকলে ডেঙ্গির মশার লার্ভা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না বলেন, ‘‘বুধবার ভোর পর্যন্ত ঘাটগুলিতে অজস্র প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। বৃহস্পতিবার অফিস খোলার পর সারা দিনের মধ্যে বিসর্জন ঘাটগুলিকে আগের অবস্থাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’

জেলা সদর তমলুকে রূপনারায়ণ নদের সঙ্গে সংযোগকারী খালে পুরসভার তরফে ঘাট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে বিসর্জন হয়েছে শহরের অধিকাংশ পুজোর। তবে বুধবার বিকালেও সেখানে কঠামো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। শহরের মধ্যে জেলখানা মোড় এবং কয়েকটি জলাশয়েও সেই ছবি দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু ধারিন্দা এলাকায়। সেখানে পুজো কমিটি বিসর্জনের পরে কাঠামো সরিয়ে দেয়। ঘাট পরিষ্কার করা প্রসঙ্গে পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় বলছেন, ‘‘শুধু কাঠামোগুলিই পড়ে রয়েছে। অন্য সব সরঞ্জাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা শহরের মধ্যে পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুরসভা।’’

Advertisement

হলদিয়া অবশ্য দূষণ রোধে ছিল তৎপর। মহকুমা প্রশাসনের তরফে হলদির তীরে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে জনাতিরিশেক সাফাই কর্মী মঙ্গলবার ভোর ৪টে পর্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন সাফাই কাজে। প্রতিমা নদীতে বিসর্জনের আগে সাজসজ্জার প্লাস্টিক, শোলার উপকরণ খুলে নেওয়া হয়। বিসর্জনের সাথে সাথে দড়ি বেঁধে তুলে নেওয়া হয় কাঠামো। তদারকিতে ছিলেন মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় এবং এসডিপিও রাহুল পান্ডে। হলদিয়া থানা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ৩৩টি পুজো কমিটি প্রতিমা নিরঞ্জন করেছে। সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে নদী দূষণ রুখতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন