তিন বছরেও চালু হয়নি পাম্প, সঙ্কটে বোরো চাষিরা

কোলাঘাট ব্লকের পরমানন্দপুর ও কয়াডাঙি মৌজায় জলের অভাবে এক সময় বোরো চাষ হত না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪২
Share:

সেই পাম্প হাউস। নিজস্ব চিত্র

বোরো চাষে জলের সমস্যা মেটাতে তিন বছর আগে কোলাঘাটের পরমানন্দপুর মৌজায় এগ্রি মেকানিক্যাল দফতরের উদ্যোগে শুরু হয় টোপা ড্রেনেজ স্কিমের কাজ। এই স্কিমে টোপা ড্রেনেজ খাল থেকে জল তুলে এলাকার চারশো বিঘা জমিতে সেচের জন্য পাইপ লাইন বসানো হয়। বসানো হয় পাম্পও। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় আজও চালু করা যায়নি ওই প্রকল্প। ফলে চলতি বোরো মরসুমে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন এলাকার অসংখ্য কৃষক।

Advertisement

কোলাঘাট ব্লকের পরমানন্দপুর ও কয়াডাঙি মৌজায় জলের অভাবে এক সময় বোরো চাষ হত না। ওই সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারের এগ্রি মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে টোপা ড্রেনেজ খাল থেকে জল তুলে এলাকার প্রায় চারশো বিঘা জমিতে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। কারণ প্রতিদিন জোয়ারের সময় রূপনারায়নণ নদ থেকে জল এসে ঢোকে টোপা ড্রেনেজ খালে। সেই মোতাবেক ২০১৭ সালে বরাদ্দ করা হয় অর্থ। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় টোপা ড্রেনেজ স্কিম। ২০১৮ সালে প্রস্তাবিত ওই দুটি মৌজায় পাইপ লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়। টোপা ড্রেনেজ খালের পাড়ে তৈরি হয় কংক্রিটের পাম্প হাউস। বসানো হয় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প। মাস দেড়েক আগে পাম্প হাউস পর্যন্ত বিদ্যুতের তার সংযোগের কাজও শেষ হয়। কিন্তু ট্রান্সফর্মার না বসায় এখনও দেওয়া হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে পাম্প চালু না হওয়ায় বোরো চাষে জলের জোগান নিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন এলাকার চাষিরা। কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘পাম্প চালু না হওয়ায় এলাকার প্রায় চারশো বিঘা জমিতে বোরো চাষ করা যাচ্ছে না। এগ্রি মেকানিক্যাল দফতরের কাছে দ্রুত পাম্প চালু করার আবেদন জানিয়েছি।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের এগ্রি মেকানিক্যাল দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মানস ভৌমিক বলেন, ‘‘টোপা ড্রেনেজ স্কিম চালুর ব্যাপারে সমস্ত পরিকাঠামোই রয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরকে ট্রান্সফর্মার দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর এখনও ট্রান্সফর্মার মঞ্জুর না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়নি।’’

Advertisement

জেলার বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার শ্যামল কুমার হাজরা বলেন, ‘‘ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি ট্রান্সফর্মার কিনে ফেলেছে। এগ্রি মেকানিক্যাল দফতরের তরফে সেটি পরীক্ষা করার আবেদন পেয়েছি। শীঘ্রই ট্রান্সফর্মারটি পরীক্ষা করে ওদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন