বধূকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপীবল্লভপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার অপর্ণা বাসুরি নামে ওই বধূকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী অপর্ণাদেবীর শ্বশুর তাঁর শ্লীলতাহানিও করেন বলে অভিযোগ। সোমবার অপর্ণাদেবী তাঁর স্বামী ধৃতিগোবিন্দ বাসুরি, শ্বশুর রাধাকৃষ্ণ বাসুরি ও শাশুড়ি অঞ্জনা বাসুরির বিরুদ্ধে গোপীবল্লভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাধাকৃষ্ণবাবু ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জনাদেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত ধৃতিগোবিন্দবাবু পলাতক।
ধৃতিগোবিন্দবাবু দাঁতন প্রাথমিক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পদে কর্মরত। অপর্ণাদেবীর দাবি, চলতি বছরের মার্চে গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা ধৃতিগোবিন্দবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। অপর্ণাদেবীর বাপের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার বাহাদুরপুর গ্রামে। বিয়ের সময় নগদ ও দানসামগ্রী মিলিয়ে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পণ দেওয়া হয়।
বিয়ের পর ধৃতিগোবিন্দবাবু কর্মসূত্রে সপ্তাহে চারদিন বাইরে থাকতেন। অপর্ণাদেবীর অভিযোগ, অন্য এক মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক ছিল। এ জন্য তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ফতোয়া দেন তাঁর স্বামী। বিষয়টি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে উল্টে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। গত সোমবার অপর্ণাদেবীকে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মারধর করেন ও শ্বশুর তাঁর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ।
রাধাকৃষ্ণবাবু ও অঞ্জনাদেবীকে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। দু’জনকেই ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী নীলেশ দাসের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে আমার মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান নারায়ণ সাঁতরা বলেন, “ওই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তাঁর নব বিবাহিতা স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন বলে শুনেছি।’’