কেশপুরে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ভাসুরের পুলিশ হেফাজত হল। ধৃত শেখ সাজেদ আলিকে সোমবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। সাজেদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই গৃহবধূর শ্বশুর শেখ আলম আলিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত শ্বশুরকে অবশ্য হেফাজতে চায়নি পুলিশ। শ্বশুরের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। ঘটনাটি রবিবার সকালের। ওই দিন সকালে বাড়ির অদূরে জমি থেকে সুরেফা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, সুরেফাকে খুনই করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়শই তাঁর উপর অত্যাচার করত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে সুরেফাকে। শ্বাশুড়ি সহ বাকি চার অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্তে সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।