—ফাইল চিত্র।
ফুলকি থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে আগুন। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে সবকিছু। পুজো কমিটিগুলোকে সতর্ক করছে দমকল। পুজোর অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। অনুমতি দেওয়ার সময়ই কমিটিগুলোকে জানানো হচ্ছে, কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দমকলের অনুমতি না নিয়ে পুজো হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হচ্ছে।
মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, “কিছু দিন আগেই পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সবদিক নিয়েই পুজো কমিটিগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। দমকলের যে বিধি রয়েছে, সেই বিধি মেনে চলার কথা জানানো হয়েছে।”
মেদিনীপুরে পুজো মণ্ডপে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। পুজোর সময় দমকলের নির্দেশ না মানলে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে বলে মানছেন এই কেন্দ্রের কর্তারাও। দমকলের মেদিনীপুরের ওসি মানিকলাল দোলুইয়ের কথায়, “ক্ষণিকের অসাবধানতায় কখনও কখনও মণ্ডপে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আনন্দ পরিণত হয় নিরানন্দে। কিন্তু আমাদের সমবেত সচেতনতায় অগ্নিকাণ্ড সহজেই পরিহার করা যায়।” তিনি বলেন, “মণ্ডপ নির্মাণের সময় ও পরে পুজো উদ্যোক্তাদের অবশ্য পালনীয় কিছু দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্ব পালন করার কথা জানানো হয়েছে।”
পুজো কমিটিগুলোকে ঠিক কী পরামর্শ দিচ্ছে দমকল?
অনেক মণ্ডপেই ঢোকা-বেরনোর জায়গা সঙ্কীর্ণ থাকে। কোনও ভাবে আগুন লেগে গেলে বা অন্য বিপত্তি হলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই মণ্ডপে ঢোকা-বেরনোর জায়গা যতটা সম্ভব উন্মুক্ত রাখার কথা জানানো হয়েছে। দমকলের এক কর্তার কথায়, “পুজো মণ্ডপের সামনেও পর্যাপ্ত উন্মুক্ত জায়গা রাখা বাধ্যতামূলক। না হলে দমকলের গাড়ি দ্রুত ও বিনা বাধায় মণ্ডপের কাছে পৌঁছতে পারবে না। তখন সমস্যা হবে।” দমকলের পরামর্শ, মণ্ডপের মধ্যে ও আশেপাশে সতর্কতা, অগ্নিনির্বাপণের প্রাথমিক ব্যবস্থা, ভিড়ের সময় সঠিক তত্ত্বাবধানের জন্য স্বেচ্ছাসেবক অবশ্যই রাখা উচিত। বিদ্যুৎ পরিবাহী তার যেন জোড়াতালিবিহীন সঠিক মানের হয়। বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ যেন প্রতিটি অংশের জন্য সুষম ও সঠিক হয়। এবং অংশগুলো পৃথক ভাবে সার্কিট ব্রেকারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
ইলেকট্রিক মেন, অস্থায়ী মিটার ইত্যাদি যেন মূল মণ্ডপ থেকে যথেষ্ট দূরত্বে থাকে। পুজো মণ্ডপে অগ্নিনির্বাপণের প্রাথমিক ব্যবস্থা যেমন শুকনো বালি, আঁকশি, প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপণের যন্ত্র অবশ্যই রাখা উচিত। আশেপাশে ড্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল মজুত রাখা উচিত। বাঁশের ব্যারিকেড ও টিন দিয়ে ঘেরা মণ্ডপগুলোয় জরুরি নির্গমনের পথ রাখা বাধ্যতামূলক।
ছোটবাজার সর্বজনীনের পৃথ্বীশ দাস, বিধাননগর (পূর্ব) সর্বজনীনের চম্পক দত্তের আশ্বাস, “পুজোর সময় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যা যা পদক্ষেপ করার তা করা হচ্ছে।”