গ্যাস লিকে আগুন, ফাটল সিলিন্ডারও

ঘিঞ্জি রেল কোয়ার্টারে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে লাগল আগুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর রেল কলোনির ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

খড়্গপুরে রেল কলোনির এই কোয়ার্টারেই লেগেছিল আগুন। নিজস্ব চিত্র

ঘিঞ্জি রেল কোয়ার্টারে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে লাগল আগুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে খড়্গপুরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর রেল কলোনির ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

দীর্ঘদিন ওই কোয়ার্টারে থাকেন ট্রেন চালক আর পাপা রাও। এ দিন অগ্নিকাণ্ডের পরে স্থানীয় যুবকদের চেষ্টায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন কোয়ার্টারের বাসিন্দারা। তবে ক্ষতি হয়েছে রান্নাঘরের সামগ্রীর। দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় অ্যাসবেস্টস ভেঙে জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।

চা করার সময় গ্যাসের পাইপ লিক করে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে ঘাটালেও। পুড়ে ছাই হয়েছে দুটি বাড়ি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘাটাল থানার শিমুলিয়া ঘেঁষা ধরমপুর গ্রামে বিকট শব্দে ফাটে সিলিন্ডারও। দমকল পৌঁছনোর আগেই বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। জামা-কাপড় সহ বাড়ির যাবতীয় আসবাব পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তবে হতাহতের খবর নেই।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে ধরমপুরের বাসিন্দা গগন দোলইয়ের বাড়িতে চা হচ্ছিল। সেই সময় পাইপ লিক করে ছড়িয়ে পড়ে গ্যাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দাউ দাউ করে রান্নাঘরের আগুন ছড়ায়। পাশেই গগনবাবুর ছেলের বাড়ি। সেই বাড়িটিও পুরোপুরি ছাই হয়ে গিয়েছে।

খড়্গপুরের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে রেলের বিরুদ্ধে। ২ নম্বর রেল কলোনি এলাকায় রয়েছে কয়েক হাজার রেল কোয়ার্টার। ঘিঞ্জি কোয়ার্টার ক্রমেই জীর্ণ হয়ে পড়েছে। রেল রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগী নয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ঘটনার সময় ট্রেন চালক কাজে গিয়েছিলেন। সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন গ্যাস সিলিন্ডার লাগিয়ে ওভেনে ভাত বসান পাপা রাওয়ের স্ত্রী আর পুষ্পাবালি। গ্যাস লিক করে নিমেষে আগুন লাগে। কোনও মতে বেরিয়ে আসেন পুষ্পাদেবী। তবে তাঁর মেয়ে এম দিভ্যানী, তাঁর দু’মাসের শিশু-সহ চারজন মহিলা আটকে পড়েন। পাপা রাও বলেন, “স্থানীয় যুবকেরা ছিলেন বলে আমার পরিবার রক্ষা পেয়েছে। আমাদের এই কোয়ার্টারগুলিতে একটি মাত্র দরজা। এতেই সমস্যা। রেলের বিষয়টা দেখা উচিত।”

এ দিন ওই কোয়ার্টারে যান স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তিনিও রেলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রদীপ বলেন, “এই রেল কোয়ার্টার এতটাই ঘিঞ্জি যে মাঝেমধ্যেই আগুন লাগে। রেল উদাসীন।” খড়্গপুর রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কুলদীপ তিওয়ারির বক্তব্য, “এই ঘটনার খোঁজ নেব। তেমন পরিস্থিতি হলে নিশ্চয় পদক্ষেপ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন