ডিওয়াইএফ নেতার বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে। আগুনে বাড়ির রান্নাঘরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বয়াল এলাকার দ্বিতীয়খণ্ড জালপাই গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
দ্বিতীয়খণ্ড জালপাই গ্রামের বাসিন্দা সাবির আলি শাহ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ-এর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছে তেরপেখ্যা বাজারে গিয়েছিলেন সাবির। অভিযোগ, সেই সময় রাত আটটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা সাবিরের বাড়ি সংলগ্ন রান্নাঘরের জানালা ভেঙে ফেলে। এরপর একটি জুতোয় ঢোকানো কাপড়ের টুকরোয় আগুন লাগিয়ে ভাঙা জানালা তারা রান্নাঘরের ভিতরে ছুড়ে দেয়। আগুন জ্বলতে দেখে বাড়ির লোকেরা চিৎকার শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। আগুনে পুড়ে রান্নাঘরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় সাবির বাড়ি ছিলেন না। নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সাবিরের অভিযোগ, ‘‘যে ভাবে রাতের অন্ধকারে কাপড়ের টুকরো-সহ জুতোয় আগুন ধরিয়ে জানালা ভেঙে রান্নাঘরে ফেলা হয়েছে তাতে ভয়াবহ আগুন লাগার সম্ভাবনা ছিল। পরিকল্পিতভাবেই এ দিন বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।’’ সাবিরের দাবি, ‘‘এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানতে না পারলেও রাজনৈতিকভাবে আমাদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই এটা করা হতে পারে। ঘটনার জেরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি।’’
এ বিষয়ে সিপিএমের নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন বেরার অভিযোগ, ‘‘দলের যুব সংগঠনের ওই নেতার বাড়িতে যে ভাবে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক। পরিকল্পনা করেই এই আক্রমণের চেষ্টা হয়েছে।’’ নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। এ ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থনও করি না। পুলিশ তদন্ত করে করে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’’