ঝাড়গ্রাম জেলার আজ প্রথম বৈঠক

ছোট্ট জেলায় বড় উন্নয়ন। এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম প্রশাসনিক পর্যালোচনা-বৈঠক ডেকেছেন জেলাশাসক আর অর্জুন।সকাল ১১ টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম জেলা কালেক্টরেটের সভাঘরে বৈঠকটি হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৩
Share:

ছোট্ট জেলায় বড় উন্নয়ন। এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম প্রশাসনিক পর্যালোচনা-বৈঠক ডেকেছেন জেলাশাসক আর অর্জুন।

Advertisement

সকাল ১১ টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম জেলা কালেক্টরেটের সভাঘরে বৈঠকটি হবে। বৈঠকে জেলার ৮টি ব্লকের বিডিও, ৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, প্রতিটি ব্লকের একশো দিনের প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম অফিসার, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং জেলার ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, নির্বাহী সহায়ক ও নির্মাণ সহায়কদের ডাকা হয়েছে। থাকবেন মহকুমাশাসক (সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো। জেলা ভাগ হলেও এখনও নতুন জেলা পরিষদ গঠন হয়নি। ফলে, বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ-সহ সমস্ত কর্মাধ্যক্ষরাও থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

ঘটনাচক্রে, নতুন জেলার মুকুটে নতুন পালক জুড়েছে একশো দিনের প্রকল্পের সাফল্য। ২০১৬-১৭ অর্থ বর্ষে একশো দিনের প্রকল্পে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিবারকে (৫,০১৭টি) গড় একশো দিন কাজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে বাড়ি-বাড়ি শৌচাগার তৈরির ক্ষেত্রে লালগড় ব্লক এগিয়ে রয়েছে। এই ব্লকে চিহ্নিত ৯৮ শতাংশ পরিবারে শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন জেলার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকের মূলত যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে, সেদুলো হল-একশো দিনের প্রকল্প এবং মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প রূপায়ণের সার্বিক পর্যালোচনা। বৈঠকে প্রতিটি ব্লকের কাছে জানতে চাওয়া হবে একশো দিনের প্রকল্পে প্রতিটি পরিবারকে কতদিন গড় কাজ দেওয়া হয়েছে। কতগুলি পরিবার ১৫ দিনের কম গড় কাজ পেয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৭ অর্থ বর্ষে ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি ব্লকের মোট ১,২৩, ৮৪৫ টি পরিবারকে সারা বছরে গড় ৪৫ দিন কাজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রায় ৫৯ লক্ষ শ্রম দিবস সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, অনগ্রসর জেলায় আরও বেশি পরিবারকে আরও বেশি দিন কাজ দেওয়ার জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েত ও ব্লক কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন জেলাশাসক।

নতুন জেলার উন্নয়নে গতি আনতে নতুন জেলাশাসক কী বার্তা দেন, আপাতত, সেই অপেক্ষায় রয়েছে প্রশাসনিক মহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন