দু’টি মামলার নিষ্পত্তি

ক্রেতা সুরক্ষায় প্রথম লোক আদালত শহরে

মেদিনীপুর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে প্রথম লোক আদালত বসল শনিবার। প্রথম দিনেই চটজলদি দু’টি মামলার নিষ্পত্তিও হয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানা এলাকার এক দোকান মালিক কার্তিকচন্দ্র সামন্তের দোকানে চুরির বহু দিন পরেও তিনি ক্ষতিপূরণ পাননি। শনিবার লোক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় হাতেনাতে বিমা সংস্থার তরফে প্রায় ২ লক্ষ টাকার চেক পেয়ে গিয়েছেন কার্তিকবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৫ ০১:২৩
Share:

মেদিনীপুর ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে প্রথম লোক আদালত বসল শনিবার। প্রথম দিনেই চটজলদি দু’টি মামলার নিষ্পত্তিও হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানা এলাকার এক দোকান মালিক কার্তিকচন্দ্র সামন্তের দোকানে চুরির বহু দিন পরেও তিনি ক্ষতিপূরণ পাননি। শনিবার লোক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় হাতেনাতে বিমা সংস্থার তরফে প্রায় ২ লক্ষ টাকার চেক পেয়ে গিয়েছেন কার্তিকবাবু। স্বভাবতই খুশি কার্তিকবাবু। তিনি বলেন, “আমার হার্ডওয়্যার ব্যবসা ছিল। দোকানে চুরি যাওয়ার পর চরম বিপাকে পড়েছিলাম। বিমা করা সত্ত্বেও বিমা সংস্থা টাকা দিচ্ছিল না। টাকা পেয়ে সত্যি ভাল লাগছে।”

মোবাইল কিনে ঠকে যাওয়া সৌরতীর্থ মিশ্রও প্রাপ্য টাকা পেয়ে গিয়েছেন। মোবাইল কেনার দাম ১৯০০ টাকা তো পেয়েছেনই, সেই সঙ্গে জরিমানা বাবদ পেয়েছেন আরও ৫ হাজার টাকা। প্রেসিডেন্ট ইনচার্জ বেবি সেনগুপ্ত, সদস্য কপোত চট্টোপাধ্যায়-সহ উভয়পক্ষের আইনজীবীরাও লোক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বেবিদেবীর কথায়, “ক্রেতাদের সুরক্ষা দেওয়াই আমাদের কাজ। যে সব মামলার নিষ্পত্তি হতে দেরি হচ্ছিলবলে আবেদনকারীরা সমস্যায় পড়ছিলেন, তাঁদের জন্যই লোক আদালত বসানো হয়েছিল। ভবিষষ্যতেও লোক আদালত বসানো হবে।”

Advertisement

পাঁশকুড়া থানা এলাকার কালিদান গ্রামের কার্তিকচন্দ্র সামন্তের হার্ডওয়্যার দোকান ছিল। গত বছর এক রাতে দোকানের সব জিনিস চুরি হয়ে যায়। বিমা সংস্থাকে জানিয়ে লাভ হয়নি। তখন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন কার্তিকবাবু। ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর ক্রেতা সুরক্ষা আদালত বিমা সংস্থাকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেয়। কিন্তু বিমা সংস্থা বারবার আবেদন পাল্টা আবেদন করে বিষয়টি দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। শনিবার দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিচারক বিমা সংস্থাকে ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেন। বিমা সংস্থাও আদালতেই চেক দিয়ে দেয়। কার্তিকবাবুকে।

মেদিনীপুর শহরের মিত্র কম্পাউন্ডের বাসিন্দা সৌরতীর্থ মিশ্র আবার ১৯০০ টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে বিপাকে পড়েছিলেন। গত বছর মোবাইল কেনার পরদিনই সেটি খারাপ হয়ে যায়। অভিযোগ, বারবার দোকানে গিয়ে বললেও নতুন মোবাইল দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে দোকানদার মোবাইল সারানোর জন্য নিলেও মাসের পর মাস তা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। সৌরতীর্থবাবু তখন তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। গত বছর মোবাইলের দাম ফেরতের সঙ্গে দোকানদারকে জরিমানাও করে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। দোকানদার পাল্টা আবেদন করেন। শনিবার লোক আদালতে অবশ্য বিষয়টি মিটে গিয়েছে। মোবাইলের দাম বাবদ ১৯০০ টাকা এবং জরিমানার ৫ হাজার টাকা আদালতেই চেকে সৌরতীর্থবাবুকে দেন দোকান মালিক। সমস্যা মেটাতে ভবিষ্যতেও হবে লোক আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement