উদ্ধার হওয়া দুই শাবক।—নিজস্ব চিত্র।
ফের গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঝোপ থেকে দুই বাঘরোল ছানা উদ্ধার হল পূর্ব মেদিনীপুরে।
মহিষাদলের কাপাসএড়্যা গ্রামে বুধবার দুপুরে ওই দুই বাঘরোল ছানাকে উদ্ধার করে বন দফতরের হলদিয়া রেঞ্জের আধিকারিক–কর্মীরা। জেল বন আধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘বাঘরোল ছানা দুটি এক থেকে দেড় মাস বয়সের। দুটি ছানাই সুস্থ রয়েছে। তাদের শুশ্রূষা করা হচ্ছে ওই বাঘরোল ছানাদের মা এলাকায় থাকতে পারে। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে বাঘরোল দেখতে পেলে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে আমাদের খবর দেন সে জন্য মাইক দিয়ে এলাকায় প্রচার চালানো হয়েছে।’’
মঙ্গলবারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সোনাখালি গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দারা এক বাঘরোলকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তবে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। কয়েকমাস আগেই তমলুকের কাশীপুর ও ধলহরা গ্রামে কয়েক দিনের ব্যবধানে স্থানীয় বাসিন্দারা দুই বাঘরোলকে পিটিয়ে মেরেছিল। ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বন দফতরের গাফিলতিকে দায়ী করেছিলেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা
বন দফতর।
বাঘরোল-সহ বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী, পাখিকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সচেতনতা অভিযান শুরু করে জেলা বন দফতর। এইসব প্রাণী-পাখির রঙিন ছবি ও তাদের রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পুস্তিকা তৈরি করে স্কুলের ছাত্রী-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করায় উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। আর তারপরেই তমলুকের রাধাবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুই বাঘরোল ছানা উদ্ধার করে বন দফতর। পাঁশকুড়ার জিয়াদা গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাঁচটি বাঘরোল ছানা উদ্ধার করে বন দফতর।
নন্দকুমারের খঞ্চি গ্রামের রথের মেলায় বেআইনিভাবে পাহাড়ি টিয়াপাখি বিক্রির অভিযোগ পেয়ে ৪৫ টি টিয়াপাখি এবং কালীনগর হাট থেকে ১৩ টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বন দফতর। এরপর বুধবার মহিষাদল থানার কাপাসএড়িয়া গ্রামের ঝোপের মধ্যে থাকা দুই বাঘরোল ছানাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বন দফতরের কাছে জানান। বন দফতরের আধিকারিক-কর্মীরা গিয়ে দুই বাঘরোল ছানাকে উদ্ধার করে।