জল নামছে পাঁশকুড়ায়, ঘুরলেন মন্ত্রী

বুধবার দুপুরে পাঁশকুড়ার কাছে কাঁসাই নদীর জল ছিল ১০.৩০ মিটারের কাছে। চরম বিপদসীমা ৯.৯ মিটারের অনেকটাই উপরে। শুক্রবার তা নেমে গিয়েছে ৭.৭ মিটারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০১:৫৮
Share:

উদ্ধার কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। শুক্রবার সকাল থেকে রোদের দেখা মিলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। বিপদসীমার অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে কাঁসাই ও ক্ষীরাই নদীর জল। সেচ দফতর জানিয়ে দিয়েছে, পাঁশকুড়ার বন্যা পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি হয়েছে।

Advertisement

বুধবার দুপুরে পাঁশকুড়ার কাছে কাঁসাই নদীর জল ছিল ১০.৩০ মিটারের কাছে। চরম বিপদসীমা ৯.৯ মিটারের অনেকটাই উপরে। শুক্রবার তা নেমে গিয়েছে ৭.৭ মিটারে। প্রাথমিক বিপদসীমার অনেকটাই নীচে। এর ফলে কাঁসাই ও ক্ষীরাই নদীর দু’পাশে প্লাবিত এলাকার জলও দ্রুত নেমে যাবে বলে জানিয়েছে সেচ দফতর।

তবে এরই মধ্যে কংসাবতী ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ঘোষণায় ফের জল বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার পাঁশকুড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধায়। ছিলেন রাজ্যের জল সম্পদমত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও সেচ দফতরের প্রধান সচিব, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও দফতরের জেলা আধিকারিকেরা। পাঁশকুড়া সেচ বাংলোয় দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন দুই মন্ত্রী।

Advertisement

রাজ্যে সেচ দফতরের প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ তোলেন সেচমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের রূপায়ণে কেন্দ্র ছাড়পত্র দিলেও অর্থ বরাদ্দ করেনি। তিনি বলেন, ‘‘দুর্যোগের দিনে রাজনীতি করতে চাইনি। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। তবে এ কথাও ঠিক বারবার দাবি জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। কেন্দ্র আমাদের কথা শুনছেই না। নিম্ন দামোদর নিয়ে আমাদের যে প্রকল্প তারও অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র।’’

দুর্গতদের উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। প্রতাপপুরে পানচাঁদা গ্রামে।

সেচমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘আজও দামোদরের জল ছাড়া হচ্ছে। হয়ত কম পরিমাণ জল ছাড়ছে। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়ে গিয়েছে।’’

বৈঠকে সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানান, গত দু’দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাঁদের আশ্বাস কংসাবতী ব্যারেজ থেকে যে পরিমাণ (১০-১২ হাজার কিউসেক) জল ছাড়া হয়েছে তাতে নদীর জলস্তরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। ফলে উদ্বিগ্নে কারণ নেই। পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিপিকা জানা হাজরা জানান দুর্গত বাসিন্দাদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টির জেরে দুই নদীর জল উপচে পাঁশকুড়া শহরের কাছে দক্ষিণ গোপালপুর, জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম ও ঘোষপুর, চৈতন্যপুর-১ ও ২, হাউর, গোবিন্দনগর, মাইশোরা পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। জলের তলায় আমনের বীজতলা, রোয়াধান, আনাজ, ফুল। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর। অনেকেই ঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন