সরেজমিন: পায়ের ছাপ খতিয়ে দেখছেন বন কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
পায়ের ছাপ দেখে বাঘ আসার গুজব ছড়াল। খবর পেয়ে বুধবার ঘটনাস্থলে যান মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা। পায়ের ছাপটি খতিয়ে দেখেন ডিএফও। পরে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আতঙ্কের কিছু নেই। বাঘ নয়। মনে হচ্ছে এটি হায়নার মতো কোনও জন্তুর পায়ের ছাপ।” তিনি বলেন, “তাও সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে বছরের বেশির ভাগ সময় জুড়েই হাতির তাণ্ডবের ভয়ে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।হাতির হানায় ফি বছর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। শুধু শস্যহানি কিংবা ঘরবাড়ি নষ্ট নয়, প্রাণহানিও হয়। এ দিন পায়ের ছাপ ঘিরে বাঘ এসেছে বলে আতঙ্ক ছড়ায়।
ঘটনাটি ঠিক কী? স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে শালবনির লক্ষ্মণপুর, লালগড়ের আজনাশুলির মতো কিছু এলাকায় এক জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা যায়। পায়ের ছাপটি বেশ বড়। এই ছাপ দেখেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। গ্রামবাসীদের কেউ অবশ্য জন্তুটিকে চোখে দেখেননি। পায়ের ছাপে আতঙ্ক ছড়ানোর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা। যান দফতরের অন্যান্য আধিকারিক-কর্মীরাও। এলাকা ঘুরে দেখেন। পায়ের ছাপের ছবি তোলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
পায়ের ছাপগুলো ছিল বালির ওপরে। মেদিনীপুরের ডিএফও বলেন, “ছাপটা বালির ওপরে রয়েছে। তাই বড় মনে হচ্ছে।” বন দফতর মনে করছে, জঙ্গলমহলের এই এলাকায় হায়না থাকতে পারে। রাতের দিকে হয়তো হায়না জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়েছিল। লোকালয়ে আসার চেষ্টা করেছিল। এই ছাপ সেই হায়নারই। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ছাপটি যে বাঘের পায়ের ছাপ নয় তা নিশ্চিত। হায়নাও হিংস্র জন্তু। তাই গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে।”