কামড়ে জখম ১৬, পিটিয়ে শেয়াল মারল ক্ষুব্ধ জনতা

শুক্রবার সন্ধ্যার মুখে একটি শেয়াল পাঁশকুড়ার কেশাপাট এবং সিদ্ধা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে-পায়ে কামড়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০০:৫৮
Share:

আক্রান্ত এক শিশু। নিজস্ব চিত্র

সন্ধ্যা হলেই এলাকার লোকজন শেয়ালের ডাক শুনতে অভ্যস্ত। সেই শেয়ালের কামড়েই একই দিনে পাঁশকুড়ার গ্রামীণ এলাকায় আহত হলেন ১৬ জন বাসিন্দা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যার মুখে একটি শেয়াল পাঁশকুড়ার কেশাপাট এবং সিদ্ধা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে-পায়ে কামড়ে দেয়। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সিদ্ধা-২ এর কাঁটাবনিশাসন গ্রামের বাসিন্দা সেরাজুল মল্লিক। হঠাৎ তাঁর পায়ে কামড় দেয় একটি শেয়াল। সেরাজুলের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। তাদের তাড়ার মুখে শেয়ালটি সেরাজুলকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আবার কেশাপাট বাজারে শেয়ালটি এক ব্যক্তিকে কামড় দেয়। পরে কেশাপাট বাজারের কিছুটা দূরে এক স্কুলছাত্রের শরীরে চার-পাঁচ জায়গায় কামড় দেয় সেটি। এলাকার লোকজনের তাড়া খেয়ে শেয়ালটি এরপর হানা দেয় কাঁটাবনি শাসন গ্রামে। রামনগর, কৃষ্ণনগর গ্রামের পথচলতি মানুষেরাও শেয়ালের কামড়ের শিকার হয়েছেন। এক দিনে মোট ১৬ জনকে কামড় দেয় শেয়ালটি। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

এলাকার মানুষেরা অনুমান করেন শেয়ালটি পাগল হয়ে গিয়েছে। এর পরেই শেয়ালটিকে মাঠে নামেন কাঁটাবনি শাসন গ্রামের বাসিন্দারা। লাঠিসোটা নিয়ে রাতে চলে শেয়াল খোঁজার কাজ। এক সঙ্গে অনেক লোককে দেখে ফের শেয়ালটি তেড়ে আসে। তখন গ্রামবাসীরা সেটিকে পিটিয়ে মারেন বলে অভিযোগ। কাঁটাবনি শাসন গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, ‘‘শেয়ালটি সারাদিন ধরে অনেক মানুষকে কামড়ায়। বন দফতরে খবরও দেওয়া হয়। তবে বন দফতর আসার আগেই গ্রামের মানুষজন পাগল শেয়ালটিকে মেরে ফেলে।’’ পাঁশকুড়া বন বিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার অনির্বাণ মিত্র বলেন, ‘‘এলাকার লোকজন পাগল শেয়ালের বিষয়ে ফোন করেছিলেন। তবে ততক্ষণে তাঁরা শেয়ালটিকে মেরেও ফেলেছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন