অন্য বাড়ি দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজের তিনতলা পাকাবাড়ি রয়েছে। তাই অন্যের বাড়ি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তদন্তের জন্য বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পটাশপুর-২ ব্লকের খাড়-৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিমসাই গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

যে বাড়ি দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

নিজের তিনতলা পাকাবাড়ি রয়েছে। তাই অন্যের বাড়ি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তদন্তের জন্য বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পটাশপুর-২ ব্লকের খাড়-৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিমসাই গ্রামের ঘটনা।

Advertisement

গ্রামবাসীর অভিযোগ, খাড় পঞ্চায়েতে পশ্চিমসাই গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্র বেরার তিনতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। ছেলের সঙ্গে একই বাড়িতে তাঁরা থাকেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় রামচন্দ্র বেরার নাম ছিল। ব্লকের প্রতিনিধিদল কয়েকমাস আগেই আবাস যোজনায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। প্রকৃত প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেন। অভিযোগ, সেই সময় পর্যবেক্ষক দলকে রামচন্দ্র বেরা নিজেদের তিন তলা পাকাবাড়ির কথা গোপন করেন।

উল্টে প্রতিবেশী এক জনের ভাঙা বাড়িকে নিজের বলে দেখিয়ে দেন। সম্প্রতি সেই ভাঙা বাড়ি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা তিনি তুলে নিয়েছেন বলে পটাশপুর-২ এর বিডিওর কাছে অভিযোগ করেছেন গ্রামের লোকজন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রামচন্দ্র বেরার ছেলে এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত। নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে তিনি এ কাজ করেছেন। তাঁরা এর উপযুক্ত তদন্ত চান। চান দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।

Advertisement

অভিযুক্তের নিজের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

যাঁর বাড়ি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেই বাড়ির মালিক শ্রীকান্ত বেরার অবশ্য দাবি, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। কেউ আমার বাড়ি দেখিয়ে টাকা তোলেনি।’’ অভিযুক্ত রামচন্দ্র বেরার ছেলে কিশোর বেরা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা নিয়ে আমরা নতুন বাড়ি তৈরি করেছি। অন্যের বাড়ি দেখিয়ে টাকা তোলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।’’

খাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপালি মাইতি বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি।’’ পটাশপুর ২-এর বিডিও মধুমালা নন্দী বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন