বিয়ে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়েছিল এক যুবক। খুনের চেষ্টার অভিযোগে নন্দকুমার থানার পুলিশ দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী থেকে গ্রেফতার করে এনেছে শেখ ইরফানকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইরফান জাহাঙ্গিরপুরী এলাকারই বাসিন্দা। একটি ডেকরেটর সংস্থায় কাজ করে। বছর সাতেক আগে নন্দকুমার থানার শীতলপুর গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ওই গ্রামে ইরফানের এক আত্মীয়ের বাড়ি। তাঁরই মধ্যস্থতায় গ্রামের মেয়ে আসলেমার সঙ্গে বিয়ে হয় ইরফানের। তাদের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু বনিবনা না-হওয়ায় আসলেমা সম্প্রতি বাপের বাড়ি ফিরে এসেছে। তারপর থেকেই ইরফান আসলেমার বোন মহিমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে শুরু করে। এতে রাজি ছিলেন না আসলেমা-মহিমার বাবা, এমনকী মহিমাও। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে একটি পুকুরের কাছে ছুরি নিয়ে মহিমাকে আক্রমণ করে ইরফান। মহিমার চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলেও, ততক্ষণে ইরফান পগার পার।
ওই ঘটনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন মহিমার বাবা। নন্দকুমারের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর তাপস ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দিল্লিত গিয়ে গত ১৪ জুন ইরফানকে গ্রেফতার করে। শনিবার তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ওই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।