খুকুরদহে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
দুর্গাপুজোর জাঁক কম। প্রতিমা জলে পড়তেই তাই দাসপুরে শুরু কোজাগরী লক্ষ্মী আরাধনার প্রস্তুতি। থিমের মণ্ডপ, চন্দননগরের আলোকসজ্জা, সঙ্গে উপরি পাওনা জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উমা বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই দাসপুরে লক্ষ্মী বন্দনার ব্যস্ততা।
দুর্গাপুজোয় থিমের মণ্ডপে এখন আর চমকের কিছু নেই। লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপে এ বার থিমের বৈচিত্র্য। দাসপুর থানা এলাকায় ২৫টির মতো সবর্জনীন লক্ষ্মীপুজো হয়। এর মধ্যে বড় বাজেটের পুজো হয় ১০-১২টি। কৃষিতে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ফি বছর কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করে বিভিন্ন বাজার কমিটি।
পুজো মণ্ডপে কোথাও মন্দিরের আদল, কোথাও আবার প্লাই-কাঠের নানা কারুকার্য। শুধু মণ্ডপে নয়, বৈচিত্র্য রয়েছে আলোতেও। চাষবাসের নানা দৃশ্য, চারা রোপণ থেকে খেত থেকে ফুল তোলা— সবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আলোর সাজে। দাসপুরের সোনামুই, সাগরপুর, জগন্নাথপুর, খুকুড়দহ, গৌরাতেই মূলত বড় পুজোগুলি হয়।
সোনামুই হাট সবর্জনীন পুজো কমিটি এ বার ৬১তম বর্ষে পা দিল। উত্তর ভারতের পুরনো একটি মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, পুজো উপলক্ষে সাতদিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যাত্রা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকছে। ৬৬তম বর্ষে পড়ল সাগরপুরে পল্লি-উন্নয়ন সমিতির সবর্জনীন লক্ষ্মীপুজো। স্থায়ী দালানে রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেলি-সিরিয়ালের নায়িকা-সহ অন্য শিল্পীরা। পুজো কমিটির পক্ষে বলরাম হাইত বলেন, “পুজো উপলক্ষে আটদিন ব্যাপী মেলা বসবে। প্রতিযোগিতামূলক নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।” ৫৮তম বর্ষের খুকুড়দহ লক্ষ্মীবাজার সবর্জনীন পুজো কমিটির পুজোর বাজেট প্রায় সাত লক্ষ টাকা। এই পুজোয় ফোম দিয়ে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। বসবে দশদিন ব্যাপী মেলাও। পুজো কমিটির পক্ষে শক্তিপদ আদক বলেন, “মণ্ডপের পাশাপাশি নজর কাড়তে থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জাও।”