হাতির পুরো দলটিকে এক জায়গায় আসতে সমর্থ হল বন দফতর। অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩০টি হাতিকে মঙ্গলবার ধেরুয়ার ডিএম বাঁধের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরেই কাঁসাই নদী। নদী পেরোলেই লালগড়। মেদিনীপুর বন বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “রাতেই হাতির দলটিকে নদী পার করে লালগড়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হবে।”
একটি হাতির দল ছিল মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদরার জঙ্গলে। অন্যটি শালবনির মৌপালে। দু’টি দলকে এক জায়গায় করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। শেষে দিনভর অভিযান চালিয়ে হাতির পুরো দলটিকে এক জায়গায় আনতে পারায় অনেকটা নিশ্চিন্ত বন দফতর। বন দফতর সূত্রে খবর, এ বার চেষ্টা করা হবে হাতিগুলিকে লালগড়ে নিয়ে যাওয়ার। তারপর প্রয়োজনে হাতিগুলিকে একদিন বিশ্রাম করিয়ে তারপর পাঠানো হবে ঝাড়খণ্ড সীমানায়। অবশ্য আগেও ৭০টি হাতিকে ওড়িশা পাঠানো হয়েছিল।
ওড়িশার বাধা পেয়ে ফের তারা এ রাজ্যে চলে আসে। ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রেও তেমন হবে না তো! বন দফতর অবশ্য জানিয়েছে, লালগড়, মালাবতী হয়ে হাতিগুলিকে ঝাড়খণ্ডে পাঠালে সেই দুশ্চিন্তা কম। কারণ, ওখান থেকে ঝাড়খণ্ডের জনবসতি এলাকা অনেক দূরে। হাতির দল ফের ঢুকতে চাইলেও বাধা দেওয়া হবে। প্রতি মুহূর্তে নজরদারি রাখা হবে সীমানা এলাকায়।