workers

শ্রমিকদের ক্ষোভ নিয়েই সচল বন্দর

বৃহস্পতিবার এই জাহাজ ঢোকার পর নতুন করে ক্ষোভ ছড়াল শ্রমিকদের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০১:০২
Share:

বন্ধ হচ্ছে না হলদিয়া বন্দর।

বিদেশ থেকে জাহাজ আসছে। জিনিসপত্র খালাসের জন্য কর্মীদের উঠতে হচ্ছে সেখানে। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ ছিল কর্মীদের মধ্যে। কিন্ত বন্দর সচল না রাখলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জোগান স্বাভাবিক থাকবে কী ভাবে! বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, আপাতত বন্ধ হচ্ছে না হলদিয়া বন্দর।

Advertisement

ঘটনাচক্রে যেদিন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিদেশ থেকে জাহাজ ঢুকল বন্দরে। বৃহস্পতিবার এই জাহাজ ঢোকার পর নতুন করে ক্ষোভ ছড়াল শ্রমিকদের মধ্যে।

শ্রমিকদের একাংশের বক্তব্য, লকডাউনের মধ্যে বন্দর চালু থাকতেই পারে। কিন্তু শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধির ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাঁদের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। থার্মাল গান দিয়ে দেহের তাপমাত্রা মাপা-সহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল সমর্থিত ‘কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট পার্মানেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নে’র হলদিয়া শাখার নেতা দেবাশিষ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘যেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের ভেতর প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে শ্রমিকেরা, সে ক্ষেত্রে তাদের জীবন বিমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’

Advertisement

ক্ষোভ ছিল। চলছিল কাজও।তবে জাহাজ থেকে মাল খালাসের গতি কমে যায়। গত এক সপ্তাহে বিদেশ থেকে ১১টি জাহাজ আসে বন্দরে। এখনও পর্যন্ত সেই জাহাজ গুলি থেকে পণ্য নামনোর কাজ শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার হলদিয়া পুরসভার সভাকক্ষে বসে জরুরি বৈঠক। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বন্দর বন্ধ হবে না। শুক্রবারের মধ্যে জাহাজ থেকে মাল খালাস প্রক্রিয়া শেষ হবে। বন্দর বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার গ্যাস-সহ পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য পেতে সমস্যা হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বন্দরকর্তারা। তাই সিদ্ধান্ত হয়, ওয়েল জেটি,কয়লা বার্থ, ভোজ্য তেল পরিবহণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখতে কয়লার রেক পরিবহণ চালু থাকবে। জেলাশাসক পার্থ ঘোষের দাবি, ‘‘হলদিয়া বন্দর একেবারে জরুরি পরিষেবা। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে হলদিয়া বন্দরের কিছুটা অংশ সচল রাখতে বলা হয়েছে।’’ এ ব্যাপারে হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ম্যানেজার অমল কুমার দত্ত জানিয়েছেন, যে ক'টি জাহাজে সামগ্রী আটকে রয়েছে সেগুলি শুক্রবারের মধ্যে খালাস করা হবে। তারপর পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কতজন শ্রমিক বন্দরের কাজে যোগ দিতে চায় তা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশই অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন বন্দরে। অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, কাজে আসার সময় পুলিশ হেনস্থা করছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতেই দিন কয়েক পরে ফের বিদেশ থেকে পৌছেছে জাহাজ।

শ্রমিক ক্ষোভ মিটল না। তবে চালু রইল বন্দর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন