ডায়েরিয়া, নিমপুরায় স্বাস্থ্যকর্তারা

রেলশহরের বেশ কয়েকটি শিশু ডায়েরিয়া আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই এলাকায় গেলেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। সোমবার বিকেলে খড়্গপুরের নিমপুরা এলাকা ঘুরে দেখে স্বাস্থ্য দফতরের ওই দল। এ দিন থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শুরু হয়েছে ডায়েরিয়া প্রতিরোধ কর্মসূচি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৬ ০০:২৬
Share:

রেলশহরের বেশ কয়েকটি শিশু ডায়েরিয়া আক্রান্ত হওয়ার পরে ওই এলাকায় গেলেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। সোমবার বিকেলে খড়্গপুরের নিমপুরা এলাকা ঘুরে দেখে স্বাস্থ্য দফতরের ওই দল। এ দিন থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শুরু হয়েছে ডায়েরিয়া প্রতিরোধ কর্মসূচি। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ডায়েরিয়া মোকাবিলায় কী করণীয় সেই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছেন।

Advertisement

রবিবার নিমপুরার ক্ষুদিরামপল্লিতে টিনা রাও নামে মাস ছ’য়েকের এক শিশুর মৃত্যুতে ডায়েরিয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে। তবে ওই শিশুমৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা যাচ্ছে, শিশুটির শরীরে জন্ডিসের জীবাণু ছিল। তবে ওই পরিবারের চার জন শিশু-কিশোর ডায়েরিয়া আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি অন্য গুরুত্ব পায়। নড়ে বসেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। অসুস্থদের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আরও এক শিশু ডায়েরিয়া নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সকলের অবস্থাই স্থিতিশীল। এ দিন ওই এলাকা পরিদর্শনে যান জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা সংক্রমিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল। পানীয় জল ও আক্রান্তদের মলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

অপরিচ্ছন্ন ওই বস্তি এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার যে টাইমকলের জল ব্যবহার করে, তার মুখে কাপড় জড়ানো রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, ওই কাপড় চুঁইয়ে পড়া জল থেকে ডায়েরিয়ার জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। এ দিন তাই খাদ্যবিধি ও স্বাস্থ্য বিধি জানাতে লিফলেট বিলি করা হয়েছে। সচেতনতা কর্মসূচিতে এগিয়ে এসেছেন এলাকার স্কুলশিক্ষিকা কণিকা দাশগুপ্ত।

Advertisement

ওই এলাকার সঙ্গে শহরের অন্য বস্তিগুলিতে ব্লিচিং, হ্যালোজেন ট্যাবলেট বিলি করতে বলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমরা নিমপুরার ওই বস্তি ঘুরে দেখেছি। পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন। ফলে ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। শৌচাগার ব্যবহার ও পরিচ্ছন্ন রাখার আবেদন জানিয়েছি। এই কর্মসূচি বিভিন্ন বস্তি এলাকায় চালানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন