হেলিকপ্টার মহড়া। নিজস্ব চিত্র
আগেই উদ্বোধন হয়েছে। এ বার পাকাপাকিভাবে চালু হল মেদিনীপুরের দ্বিতীয় হেলিপ্যাড। মন্ত্রীকে নিয়ে হেলিপ্যাড থেকে উড়ল কপ্টার। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এ বার এই হেলিপ্যাডই বেশি ব্যবহার হতে পারে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘মেদিনীপুরের ওই হেলিপ্যাড থেকে কপ্টার উড়েছে। কপ্টারে মন্ত্রী ছিলেন।’’ বছর খানেক আগেই দ্বিতীয় স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে মেদিনীপুরে। প্রশাসনের উদ্যোগে হেলিপ্যাডটি তৈরি করা হয়েছে কুইকোটার অদূরে, মেদিনীপুর শহরতলির খাসজঙ্গলে, সদর ব্লক অফিসে যাওয়ার পথে সরকারি বাস ডিপোর পাশে। মেদিনীপুরে একটি স্থায়ী হেলিপ্যাড আগে থেকেই রয়েছে। সেটি মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের মধ্যে। সার্কিট হাউস এলাকাটি শহরের মাঝে। স্বাভাবিকভাবে চারপাশে জনবসতি রয়েছে। এক সময়ে এই এলাকায় তেমন জনবসতি ছিল না। ধীরে ধীরে কিছু বাড়ি তৈরি হলেও সেগুলো একতলা বা দোতলা ছিল। বর্তমানে জমির দাম বেড়েছে। বহুতল নির্মাণের ঝোঁক বেড়েছে। চারপাশে বহুতল থাকলে হেলিকপ্টারের ওঠানামায় সমস্যা হয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যার কথাও একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে উঠে আসে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর।
বিশিষ্টজনেরা (ভিভিআইপি বা ভিআইপি-রা) মেদিনীপুরে এলে ইদানীং সার্কিট হাউসের হেলিপ্যাডের পরিবর্তে পুলিশ লাইনের মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হত। কিংবা অন্য কোথায়। যেমন চলতি মাসের গোড়ায় মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কপ্টারেই মেদিনীপুরে আসেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশ লাইনে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। গত জুলাই মাসে মেদিনীপুরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও কপ্টারে মেদিনীপুরে আসেন। এ ক্ষেত্রে শহরের রাঙামাটির কাছে আইটিআই- এর মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। এক সময়ে কয়েকটি জেলায় হেলিপ্যাড তৈরিতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সেই সময়ে মেদিনীপুরে এই দ্বিতীয় হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শুরু হয়। হেলিপ্যাড তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা।
এর আগে এখানে কপ্টার ওঠানামার মহড়া হয়েছে। এই প্রথম শহরতলির এই হেলিপ্যাড থেকে কোনও ভিআইপি-কে নিয়ে কপ্টার উড়ল। কেমন? প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে আসেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুরুতে তিনি মেদিনীপুরে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন। পরে যান শালবনিতে। এখানে তিনি জেলার জঙ্গলমহল উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে শালবনি থেকে মেদিনীপুরে ফেরেন। মেদিনীপুর থেকে কপ্টারে করেই কলকাতায় যান। কপ্টার ওঠে এই হেলিপ্যাড থেকেই। পরিবহণমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে হেলিপ্যাডে গিয়েছিলেন শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী। নির্মাল্য কুইকোটা এলাকারই (২ নম্বর ওয়ার্ড) জনপ্রতিনিধি। নির্মাল্য মানছেন, ‘‘আগে এই হেলিপ্যাডে কপ্টার ওঠানামার মহড়া হয়েছে। তবে কোনও মন্ত্রীকে নিয়ে এই প্রথম এখান থেকে কপ্টার উড়ল।’’