প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-য় সামিল হতে চায় খড়্গপুর আইআইটি। কম খরচে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার এবং তার সঙ্গে কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়— এ নিয়েই নতুন করে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।
রবিবার খড়্গপুর আইআইটি-র বিক্রমশীলা ভবনের গার্গী অডিটোরিয়ামে গ্রামীণ প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ করতে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সহযোগিতায় আইআইটি-র ‘রাজেন্দ্র মিশ্র স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপ’-এর উদ্যোগে এই কর্মশালা। ‘ওয়ার্কশপ অন প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডিজাইন আইডিয়া’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে ছিল আলোচনা ও প্রতিযোগিতা। হস্তচালিত ধান কাটার যন্ত্র এবং হস্তচালিত আগাছা ছাঁটার যন্ত্রের উদ্ভাবনে নিজেদের সেরা ভাবনা তুলে ধরেছেন প্রতিযোগীরা। খড়্গপুর আইআইটি-র পাশাপাশি শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, এনআইটি পটনা ও এনআইটি জামশেদপুরের ১০০ জন ছাত্রছাত্রী ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছেন। ২০টি দলে ভাগ করে চলছে প্রতিযোগিতা।
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি যন্ত্র তৈরিতে নানা ধরনের প্রযুক্তি ও নকশা ব্যবহার করা হয়। সেই নকশা উদ্ভাবন ও তাকে ত্রুটিমুক্ত করা যায় কী ভাবে, তা-ই এই কর্মশালার মূল উপজীব্য। প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া ছাত্র বরুণ দেও, হিমাংশু কুমাররা বলেন, “বর্তমান কৃষিতে যে সমস্ত যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে, তার থেকেও উন্নতমানের যন্ত্র তৈরি করতে চাই। সে ক্ষেত্রে কতটা কম খরচে সেই যন্ত্র তৈরি করা যায়, সেটাও আমাদের চ্যালেঞ্জ।’’
গ্রামীণ প্রযুক্তির উপরে নানা বিষয়ে আলোচনাও হয়। উপস্থিত ছিলেন, খড়্গপুর আইআইটির অধ্যাপক প্রণবকুমার দাঁ, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের অধ্যাপক অমরেশ চক্রবর্তী প্রমুখ। ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন চেন্নাই আইআইটির অধ্যাপক সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায়।