শ্রীনু নায়ডু খুনের মামলায় ধৃত সুপারি কিলার রাজু সিংহ ওরফে বাপিকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। রাজুকে হেফাজতে চেয়ে বুধবারই মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে তোলা হয়। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমর নায়েক বলেন, “ওই অভিযুক্তের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”
গত মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলে টিআই প্যারেডে রাজুকে চিহ্নিত করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা। গত ১১ জানুয়ারি খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্টে তৃণমূলের এয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে আততায়ীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। শ্রীনু খুনের মামলায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রাজু অন্যতম। দিন কয়েক আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজু ওই এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশের এক সূত্রের দাবি, রাজু সুপারি কিলার। খড়্গপুরের দুষ্কৃতীরা টাকা দিয়ে শ্রীনু খুনের জন্য তাকে ভাড়া করে এনেছিল।
শ্রীনু মামলায় বুধবারই সি শ্রীনু ও আর সম্মুখ নামে ঘটনার দুই প্রত্যক্ষদর্শী মেদিনীপুরের এসিজেএম আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও দুই প্রত্যক্ষদর্শীর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। শরীর অসুস্থ থাকায় তাঁরা এ দিন মেদিনীপুর আদালতে আসেননি। আজ, শুক্রবার গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা নন্দ দাস নামে এই মামলায় এক ধৃতের। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমর নায়েক বলেন, “নন্দ নিজেই গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে।”